কোভিড এক সময় এ দেশে ঘরে ঘরে জনপ্রিয় করে তুলেছিল ডালগোনা কফি। অফুরন্ত সময়ে কাজ খুঁজে নিতে চামচের সাহায্যে কফিতে গরম জল মিশিয়ে মিনিট ১৫-২০ ধরে ক্রমাগত ফেটিয়ে তা সফেন করে তোলাই ছিল চ্যালেঞ্জ।
কোভিডের ভয়বাহতা কাটিয়ে উঠেছে বিশ্ব। জীবন অনেক দিনই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে মুখে লেগে রয়েছে ডালগোনা কফির স্বাদ।
কাচের গ্লাসের উপরে সফেন কফি, নীচে ঠান্ডা ঘন দুধ, তাতে কয়েক কুচি বরফ। এই গরমে তেতেপুড়ে এসে এমন কফিতে চুমুক দেওয়ার ইচ্ছে কার না জাগে!
কিন্তু বিষয় হল, যাঁদের প্রাণিজ দুধ সহ্য হয় না, ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণের ভয়ে চিনি খান না, তাঁদের জন্য কী উপায়? কী ভাবে ডালগোনা কফি স্বাস্থ্যকর করে তুলবেন?
সাদা চিনির বদলে নারকেলের চিনি: সাদা চিনি বাদ দিয়ে যোগ করতে পারেন নারকেলের চিনি বা কোকোনাট সুগার। শুধু ডায়াবেটিকদের জন্য নয়, স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছেও কোকোনাট সুগার বা নারকেল থেকে তৈরি চিনি ইদানীং ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। অর্থাৎ, এই চিনি খেলে একধাক্কায় রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায় না। এ ছাড়া, নানা ধরনের খনিজ এবং ফাইবার রয়েছে এই চিনির মধ্যে। এতে থাকে জ়িঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়ামের মতো খনিজ।

ডালগোনা কফি কী ভাবে বানাবেন?
কাঠবাদামের দুধ: প্রাণিজ দুধে থাকে ল্যাক্টোজ়। অনেকেই ‘ল্যাক্টোজ়’ হজম করতে পারেন না। ফলে দুধ খেলেই পেটফাঁপা, বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু ডালগোনা কফিতে দুধ দিতেই হবে। প্রাণিজ দুধের বদলে ব্যবহার করুন কাঠবাদামের দুধ বা সয়মিল্ক। কাঠবাদামে যথেষ্ট পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, খনিজ থাকে। সয়াবিন থেকে তৈরি দুধও উপকারী।
কী ভাবে বানাবেন?
১ চা-চামচ কালো কফিতে সামান্য নারকেলের চিনি এবং গরম জল মিশিয়ে দিন। মিশ্রণটি ‘ফদার’-এর সাহায্য ঘন ফেনার মতো করে নিন। একটি কাচের পাত্রে দুধ এবং বরফকুচি যোগ করে উপর থেকে ফেনার মতো কফি ঢেলে দিন।