একে তারকা কন্যা, আবার গ্ল্যামার দুনিয়ার প্রতিনিধি। সুতরাং তাঁর জীবন আর পাঁচজনের চেয়ে আলাদা হওয়াই স্বাভাবিক। অনেকেই মনে করেন, তারকাদের জীবন ভীষণ সুখের। তবে এমনই প্রশ্ন শুনে একটি সাক্ষাৎকারে সহাস্য অভিনেত্রী সারা আলি খান জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবন ভীষণ দুঃখের। কারণ, খাওয়ার তালিকায় দুধ, চিনি,কার্বোহাইড্রেট থাকেই না। উল্টে তাঁর দিন শুরু হয় হলুদ এবং পালংশাক ভেজানো ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে।
তবে সারার মতো ডায়েট মানলে তাঁর মতো চেহারা পাওয়াও সম্ভব বলছেন পুষ্টিবিদ সুমিত শর্মা। সমাজমাধ্যম প্রভাবী সুমিত ওজন কমানোর কৌশল নিয়ে মাঝেমধ্যেই পরামর্শ দেন। তিনিই বলছেন, ‘‘কী খেতে হবে এবং কখন খেতে হবে, জানলেই মেদ ঝরানো সহজ হয়ে যায়।’’ দু’মাসে নায়িকার মতো ছিপছিপে শরীর পেতে সকাল থেকে রাত, কোন সময় ডায়েট কেমন হওয়া উচিত বললেন তিনি।
আরও পড়ুন:
প্রাতরাশ: সকালের খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেন পুষ্টিবিদেরা। সেই খাবারে ফাইবার, প্রোটিন থাকা ভীষণ জরুরি। সুমিতের পরামর্শ, সকালের খাবারে অঙ্কুরিত ছোলা, মটর, তার সঙ্গে বিভিন্ন রকম বাদাম, নারকেল, টাটকা সব্জি এবং ফল রাখা উচিত।
দুপুরের খাবার: দুপুরের খাবারে পরিমিত ভাতের সঙ্গে এক বাটি ডাল রাখতে বলছেন তিনি।
রাতের খাবার: রাতের খাবারে মিলেটের রুটির সঙ্গে একেক দিন একেক রকম সব্জি।
একই সঙ্গে মনে করাচ্ছেন মধ্যাহ্ন বা নৈশ ভোজের আগে একবাটি স্যালাড খাওয়ার কথা। স্যালাড খাবার হজমে সহজ করে, কিছুটা পেট ভরিয়ে দেয়। ফলে কার্বোহাইড্রেট বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। স্যালাড ফাইবারেরও জোগান দেয়। ওজন কমানোর জন্য যা অত্যন্ত জরুরি।
তবে সুমিত নিরামিষ ডায়েটের পরামর্শ দিলেও সারার দৈনন্দিন খাবার ডিম, মাংস থাকেই। সারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং প্রাণায়ামও করেন।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ওজন কমাতে গেলে ফাইবার, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে রাখা জরুরি। তবে শরীর এবং সমস্যা অনুযায়ী তা পৃথক হতে পারে। নতুন কোনও ডায়েট শুরু করার আগে পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।