শরীরকে নিয়মিত জলের জোগান দেওয়া কেন জরুরি, তার কী কী উপকার, তা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। শরীরকে ভাল রাখার সবচেয়ে বড় ওষুধ যে জল, তা মোটামুটি অনেকেই এখন জানেন। কিন্তু মুশকিল হল, সব জেনেও শরীরের যতটা জল দরকার, ততটা খাওয়া হয়ে ওঠে না অনেকেরই। বাড়িতে হোক বা অফিসে অধিকাংশেই তেষ্টা পেলে তবে জল খান। হাজার কাজের ফাঁকে নিয়ম করে এক ঘণ্টা বা দেড় ঘণ্টা অন্তর জল খাওয়া হয় না। তবে কি ব্যস্ত মানুষেরা অসুস্থ হবেন? যেখানে তাঁদেরই সবচেয়ে বেশি সুস্থ থাকা দরকার! পাঁচটি পরামর্শ মেনে চললে তাঁরা ব্যস্ততার মধ্যেও শরীরকে আর্দ্র রাখতে পারবেন। পূরণ করতে পারবেন তাঁদের দৈনিক জলপানের লক্ষ্য।
১। দিনের শুরু
সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল খান। ভাবছেন, এ আর নতুন কি পরামর্শ! নতুন নয় ঠিকই, তবে অত্যন্ত কার্যকরী। সকালে ওই প্রথম এক গ্লাস জলই দিনের জল খাওয়ার তার বেঁধে দেবে।
২। জলের বোতল
ব্যাগে তো বটেই, যে খানে কাজ করেন, সেখানেও হাতের নাগালে রাখুন জলের বোতল । সঙ্গে জলের বোতল থাকলে আপনা হতেই জল খাওয়া বেশি হবে।
৩। মিষ্টি বা সরবৎ
অতিরিক্ত গরমে শরীরে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা না থাকলে মিষ্টি বা সরবৎ খেতে ইচ্ছে হয়। প্রতিবার যখনই ওই ইচ্ছে হবে, তত বারই তার বদলে জল খান।
৪। জল এবং ফল
জল বেশি আছে এমন ফল খান। যেমন তরমুজ, টম্যাটো, শসা ইত্যাদি। তাতেও শরীরে জলের জোগান ঠিক থাকবে।
৫। খাওয়ার আগে
খাওয়ার সময় বা খাওয়ার পরে জল খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। পেট ভর্তি থাকায় জল বেশি খাওয়া যায় না। তাই জল খান প্রতিবার খাওয়ার আগে। তাতে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলার আশঙ্কাও কমবে।