চা বার বার ফুটিয়ে খাওয়া উচিত নয়, কেন? ছবি: শাটারস্টক।
সংসার এবং অফিস— অনেককেই এক হাতে সামলাতে হয় সব কিছু। ফলে হেঁশেলের কাজ করার মতো সময় অনেকের হাতেই থাকে না। সময় এবং শ্রম— দুই-ই বাঁচাতে একবারে রান্না করে রাখেন অনেকেই। অনেকেই আছেন, যাঁরা দু’ দিনের খাবারও এক দিনেই বানিয়ে রেখে দেন। এতে বাড়তি সময়ও লাগে না। ঝক্কিও কম। খাওয়ার সময়ে শুধু গরম করে নিলেই হল। তবে বেশ কিছু খাবার বার বার গরম করা ঠিক নয়। তাতে খাবারের পুষ্টিগুণ তো চলে যায় বটেই, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ারও ঝুঁকি বেড়ে যায়। জেনে নিন, কোন কোন খাবার পুনরায় গরম করে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়।
শাক: পুঁইশাক, পালংশাক, লালশাক— কোনও ধরনের শাকই দ্বিতীয় বার গরম করা উচিত নয়। শাকপাতায় নাইট্রেট থাকে। রান্না করা শাকের তরকারি পুনরায় গরম করা হলে ওই নাইট্রেট থেকে নাইট্রাইট যৌগ তৈরি হয়, যা শরীরের ক্ষতি করে। এ ছাড়া পালংশাকে ভরপুর মাত্রায় আয়রন থাকে, পালংশাক গরম করলে আয়রন অক্সিডাইজ় হয়ে যায়। সেই শাক খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
ভাত: সময় এবং গ্যাস বাঁচাতে অনেকেই দু’বেলার ভাত একসঙ্গে করে রাখেন। গ্যাস থেকে নামানোর পরে ভাত যদি ঘরের তাপমাত্রাতেই রেখে দেওয়া হয়, তা হলে ভাত ঠান্ডা হয়ে গেলে নানা ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে শুরু করে। সেই ঠান্ডা হওয়া ভাত যদি আবার গরম করা হয়, তবে ব্যাক্টেরিয়াগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
চা: চা কখনওই দ্বিতীয় বার ফুটিয়ে খাওয়া উচিত নয়। অনেকেই আছেন যাঁরা একেবার চা বানিয়ে রেখে বার বার ফুটিয়ে খান। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়। চা বার বার ফোটালে তাতে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। সেই চা খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তেল: ভাজাভুজি করার পর আবার সেই তেলেই অনেকেই রান্না করেন। হোটেল, রেস্তরাঁ কিংবা রাস্তার ধারের খাবারের স্টলগুলিতেও এক তেল বার বার গরম করে তাতে ভাজাভুজি করা হয়। তবে তেল বার বার গরম করলে কিন্তু সেটি ট্রান্স ফ্যাটে পরিণত হয়। আর ট্রান্স ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়, কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়তেও সময় লাগে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy