পিসিওএস-এর সমস্যা দেখা দিলে শরীরে ইনসুলিন ও গ্লাইসেমিক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
যন্ত্রনির্ভর আধুনিক জীবনযাপনের হাত ধরে মেয়েদের শরীরে দেখা দিচ্ছে নানা অসুখ। তার উপর দেদারে চলছে অসাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া। এ সবের প্রভাব পড়ছে ডিম্বাশয়ের উপর। সেখানে দেখা দিচ্ছে একাধিক সিস্ট। চিকিৎসার পরিভাষায় এর নাম পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস)। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়। তার সঙ্গে হয় আরও নানা ধরনের সমস্যা।
এই অসুখ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে। শরীরচর্চার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ায় বদল আনলেও এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সঠিক সময় শরীরের যত্ন না নিলে এই রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসারের মতো মারণ রোগও।
পিসিওএস থাকলে কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?
চিনি
পিসিওএস থাকলে ডায়াবিটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। পিসিওএস-এর সমস্যা দেখা দিলে শরীরে ইনসুলিন ও গ্লাইসেমিক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে জটিল শর্করা জাতীয় খাবার বা চিনি খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। পিসিওএস-এর সমস্যা থাকলে অনেকের ওজন এমনিতেই বেড়ে যায়, তার উপর চিনি খেলে আরও বেশি ওজন বেড়ে যেতে পারে।
পাঁঠার মাংস
এই রোগে ভুগলে চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। পিসিওএসের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। পাঁঠার মাংস খেলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য আরও বিঘ্নিত হতে পারে।
পক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে নুন এবং রাসায়নিক থাকে যা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এ ছাড়াও, এই খাবারগুলিতে ট্রান্স ফ্যাট এবং কৃত্রিম চিনিও ভরপুর মাত্রায় থাকে। এই জাতীয় খাবার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ওজন বাড়াতেও এদের অবদান অনেকটা।
গ্লুটেন জাতীয় খাবার:
পিসিওএসের সমস্যা থাকলে গ্লুটেন জাতীয় খাবার খাওয়ায় রাশ টানতেই হবে। পিসিওএস-এর সমস্যায় ভুগলে আপনি যদি সাদা পাউরুটি, পাস্তা, পিত্জ্জা বিভিন্ন প্রকার সিরিয়াল খান তা হলে প্রদাহজনিত সমস্যা বাড়তে পারে। এই প্রকার খাদ্য রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
দুগ্ধজাত খাবার
পিসিওএস-এর সমস্যা থাকলেও আপনি দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন তবে পরিমিত মাত্রায়। অত্যধিক মাত্রায় দুধ খেলেও আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই কতটা দুধ খাবেন সেই বিষয়ে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই শ্রেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy