একটু বৃষ্টি হল কি না হল না, তাপমাত্রার রকমফের হলেই সর্দি, কাশি লেগে থাকে? মরসুম বদলের সময় তো বটেই, অনেকেই খুব ঘন ঘন অসুখে পড়েন। ঠান্ডা লাগা, জ্বর লেগেই থাকে।
চিকিৎসকেরা বলেন অসুখ বিসুখ দূরে রাখতে পুষ্টিকর খাবার খেতে। অতি অবশ্যই তাতে যেন থাকে ভিটামিন এবং খনিজ। দৈনন্দিন শাকসব্জি, তরিতরকারি একঘেয়ে রাখলে ভাত কিংবা রুটির পাতে রাখতে পারেন রসুন শাকের থেচা।
আরও পড়ুন:
মহারাষ্ট্রে এই খাবারের চল যথেষ্ট। শীতের মরসুমে এটি খাওয়া হলেও, ভাত, রুটির সঙ্গে টাকনা হিসাবে এটি খাওয়া যেতে পারে বছরভর।
উপকরণ লাগে যৎসামান্য। রান্নাও খুব সহজ। হাতের কাছে একটু রসুন শাক থাকলেই হল। মূলত শীতের মরসুমে টাটকা রসুন শাক পাওয়া যায়। তবে ইদানীং যে কোনও সব্জি মেলে মোটমুটি সারা বছর।
কী ভাবে বানাবেন?
এক আঁটি রসুনশাক, কচি রসুন-সহ ধুয়ে কুচিয়ে, এক মুঠো চিনাবাদাম, ১-২টি শুকনো লঙ্কা, সামান্য ধনেপাতা, স্বাদমতো নুন দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে থেচা। এরপর গরম তেলে কাঁচা ভাব কাটাতে একটু নাড়িয়ে চাড়িয়ে নিলেই হবে। মিহি বাটা হবে না, দানা থাকলে তবেই স্বাদে ভাল হবে।
চাইলে সমস্ত উপকরণ শুরুতে গরম তেলে নাড়াচাড়া করে শুকনো লঙ্কার বদলে কাঁচা লঙ্কা ব্যবহার করে, হামান দিস্তায় পিষে নিতে পারেন।
কী ভাবে খাবেন?
ভাত অথবা রুটির সঙ্গে এটি খাওয়ার চল। তরকারির বদলে থেচা দিয়েও তা খাওয়া যায়।
এই খাবারের পুষ্টিগুণ
রসুনশাকে মেলে অ্যালিসিন নামে একটি উপাদান। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, ছোটখাটো সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে।
চিনেবাদামে থাকে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি, ই এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অ্যাক্সিড্যান্টও।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন কে এবং অন্যান্য খনিজে ভরপুর ধনেপাতা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
এই সমস্ত উপকরণের মিশেলে তৈরি থেচার গুণ অনেক।
· অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর থেচা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
· এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান।
· এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, ত্বক টানটান রাখে।