রোজের নানা অনিয়মে ভুঁড়ি বেড়েই চলেছে? ছবি: সংগৃহীত।
রোজের নানা অনিয়মে ভুঁড়ি বেড়েই চলেছে? ওজন ঝরাতে তাই ডায়েটই ভরসা? দিন রাত কড়া ডায়েট মেনেও মেদ যে কিছুতেই জব্দ হচ্ছে না! গলদ থাকতে পারে ডায়েটের নিয়মেই।
ডায়েট করার মাঝেই খিদে পেলে মুখে পুরছেন রকমারি স্ন্যাকস? অনেকেই ভাবেন পরিমাণে কম খেলেই বুঝি রোগা হওয়া যায়। এমনটা কিন্তু নয়। ডায়েট করলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেতে হয়। ডায়েট করার শুরুর দিকে খিদে পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেই যে ওজন কিছুতেই কমবে না। খিদে পেলে কী ভাবে তা সামাল দেবেন, জানতে হবে সেই টোটকাই। ডায়েটের সময়ে খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কী ভাবে?
১. যখনই খিদে পাবে, তখন বেশি করে জল খেয়ে নিন। এই টোটকায় খিদে অনেকটাই কমে। জল খেলে পেট ভরে যায়। যে কোনও ডায়েট করার সময়ে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এতে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকিও কমে। চাইলে বারে বারে ডিটক্স ওয়াটারও চুমুক দিতে পারেন।
২. ডায়েট করার সময় বেশি করে ফাইবার জাতীয় খাবার রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। এই প্রকার খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে, খিদে কম পায়। ওট্স, বার্লি, ফল ও শাক-সব্জিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। এ ছাড়া খেতে পারেন মটর, শিম ও বিভিন্ন প্রকার ডালও।
৩. প্রোটিনও খিদে কমাতে সাহায্য করে। ডায়েট করার সময় চার ঘণ্টা অন্তর প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার রাখলে তা খিদে পাওয়ার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে। খিদে পেলে ভাজাভুজি নয়, একটা সেদ্ধ ডিম খেলে বেশি উপকার পাবেন।
৪. মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে হবে। ডায়েট শুরু করলে অনেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ফলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এ রকম হলে কিন্তু আমরা অজান্তেই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি। ওজন কিছুতেই কমে না। ডায়েট শুরু করার আগে তাই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হন। নইলে শত চেষ্টাতেও ওজন কমবে না।
৫. খাওয়ার সময়ে তাড়াহুড়ো না করাই ভাল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। খিদেও কম পায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy