টিট্টিভাসন বা ‘ফায়ারফ্লাই পোজ়’ হাত ও পায়ের পেশিকে শক্তিশালী করে তোলার একটি ব্যায়াম। আসনের ভঙ্গিমা ও উপকারিতার কথা মাথায় রেখেই এমন নামকরণ করা হয়েছে। এই যোগাসন নিয়মিত অভ্যাসে পায়ের জোর বাড়ে, শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে। পাশাপাশি, পেট-কোমর ও তলপেটের মেদও ঝরে। খুব তাড়াতাড়ি ওজন ঝরাতে চাইলে এই যোগাসন অভ্যাস করা যেতেই পারে। তবে এই আসনের ভঙ্গিমা এক দিনে আয়ত্ত করা সম্ভব নয়। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে ধীরে ধীরে অভ্যাস করলেই আয়ত্তে আসবে।
টিট্টিভাসন অষ্টাঙ্গ যোগের একটি অংশ। এর কাজ হল শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করা। পেশিশক্তি বৃদ্ধি করা ও অস্থিসন্ধি মজবুত করতে এই আসন অভ্যাস করা হয়।
আরও পড়ুন:
ধাপে ধাপে শিখুন টিট্টিভাসন
• প্রথমে দু’পায়ের পাতার মধ্যে দূরত্ব রেখে দাঁড়ান।
• ধীরে ধীরে কোমর ভাঁজ করে শরীর নামিয়ে আনুন, দুই হাতের তালু মাটি স্পর্শ করে থাকবে।
• এ বার দুই হাত ঘুরিয়ে পায়ের পিছন দিকে নিয়ে যান, হাতের আঙুলগুলি প্রসারিত থাকবে।
• শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে, নিতম্ব নামিয়ে আনুন।
• দুই হাতের উপর ভর করে ধীরে ধীরে দুই পা তুলতে হবে।
• প্রথমে বাঁ পা তুলুন, তার পর একই ভাবে ডান পা।
• দুই পা সামনের দিকে প্রসারিত করে দিন, দুই পায়ের পাতা মাটির সঙ্গে সমান্তরালে থাকবে।
• এই ভঙ্গিমায় ২০ সেকেন্ড থেকে দুই পা নামিয়ে নিন।
• ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে ফের অভ্যাস করুন।
উপকারিতা কী?
১) শরীরের ভারসাম্য বাড়বে।
২) হাত ও পায়ের পেশি নমনীয় এবং শক্তিশালী হবে।
৩) গাঁটে গাঁটে ব্যথা থাকলে তা কমে যাবে।
৪) নিতম্বের পেশির জোর বাড়বে, মেদ কমবে।
৫) পেটের মেদ কমবে।
৬) নিয়মিত অভ্যাসে একাগ্রতা ও মনঃসংযোগ বাড়বে।
কারা করবেন না?
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা থাকলে এই আসন না করাই ভাল।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় টিট্টিভাসন করবেন না।
পিঠ, কাঁধ বা পায়ে কোনও রকম আঘাত থাকলে এই আসন অভ্যাস করা যাবে না।
অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে আসন অভ্যাস করতে যাবেন না।