‘স্পটিং’ কি কোনও জটিল রোগের ইঙ্গিত? ছবি: সংগৃহীত।
ঋতুস্রাবের সময় আসার দিন কয়েক আগেই অনেক সময় মহিলাদের হালকা রক্তপাত হতে দেখা যায়। তবে সেই রক্তপাত ঋতুস্রাবের মতো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কয়েক দিন পরে আবারও একই সমস্যা শুরু হয়। দিনে খুব অল্প সময়ের জন্য ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত। বাকি সময়টা আবার স্বাভাবিক। এই সমস্যার নাম ‘স্পটিং’। এই সমস্যা কি বড় কোনও চিন্তার কারণ? কখন স্পটিং হয়?
অন্তঃসত্ত্বা হলে: গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায় ‘স্পটিং’ হয় কারও কারও। ভ্রূণ যখন প্রথম জরায়ুতে প্রবেশ করে, অনেকের সেই সময়ে ‘স্পটিং’ হয়। স্পটিং হওয়া মানেই ধরে নেবেন না আপনি অন্তঃসত্ত্বা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রথম ৩ মাসে অনেকেরই মাঝেমাঝে স্পটিং হয়। এমনিতে খুব বেশি চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু স্পটিং বেড়ে যদি অনেক রক্তপাত হয়, তা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ওভিউলেশন: অনেকের ডিম্বস্ফুটনের সময়ে স্পটিং হয়। রক্তের রঙের চেয়ে একটু ফিকে হয় এর রং। ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে ১১ দিন থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে কোনও সময়ে এমন হতে পারে।
জরায়ুতে সমস্যা: ফাইব্রয়েড, পলিপ বা ক্যানসারের মতো রোগের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক উপসর্গ ‘স্পটিং’। পলিসিস্টিক ওভারি, এনড্রোমেট্রিয়োসিস বা অন্য কোনও টিউমার হলেও এই সমস্যা হঠাৎ দেখা দিতে পারে। ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার সময়ে প্রতি মাসে ‘স্পটিং’-এর সমস্যা হতে পারে।
যৌনরোগ: গনোরিয়ার মতো যৌনরোগের ক্ষেত্রেও প্রথম উপসর্গ ‘স্পটিং’। পাশাপাশি, অন্য কোনও উপসর্গ রয়েছে কি না, খেয়াল করুন।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: গর্ভনিরোধক ওষুধ বেশি খেলেও স্পটিং হতে পারে। এ ছাড়াও হরমোনের ওষুধ খাওয়া শুরু করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেক মহিলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy