ছবি: প্রতীকী
ভারতীয় রান্নায় ব্যবহৃত প্রায় প্রতিটি মশলারই কিছু না কিছু গুণ রয়েছে। জিরে তার মধ্যে অন্যতম। মাছের ঝোল, কষা মাংস থেকে নিরামিষ ধোঁকার ডালনা— প্রায় সব রান্নাতেই জিরে গুঁড়ো ব্যবহারের চল রয়েছে। আলুকাবলি বা ফুচকার মশলায় জিরে গুঁড়োর এমন গন্ধ না থাকলে, এই খাবারের প্রতি এত টান থাকত কি না সন্দেহ। কিন্তু পেটের গোলমাল হওয়ার ভয়ে অনেকেই মশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলেন। তবে, স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই সকালে খালি পেটে জিরে ভেজানো জল খান।
আয়ুর্বেদ বলে, এই জিরে ভেজানো জল হজমশক্তি উন্নত করার পাশাপাশি, বিপাকহার উন্নত করলেও সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত না হলেও পরিমিত পরিমাণে মশলা নিয়মিত খেলে তা স্বাস্থ্যের উপকারই করে। ভিটামিন এ, ই, বি-সহ থায়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন এবং নায়াসিনের মতো বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে জিরেতে। এ ছাড়াও রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ়, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো যৌগ। তাই শুধু রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করতেই নয়, শরীর ভাল রাখতেও জিরে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
১) হজমে সহায়ক
হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে জিরে। লাইপেজ়, অ্যামাইলেজ় এবং প্রোটিজের মতো উৎসেচক চর্বি, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনজাতীয় খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জিরে এই সব উৎসেচক উৎপাদনের হার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
২) ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জিরে বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। দেহের অতিরিক্ত চর্বি অক্সিডাইজ়েশনের মাধ্যমে শক্তিতে পরিণত করে। ফলে ওজনের উপর তার প্রভাব লক্ষ করা যায়।
৩) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে গ্লুকোজ়ের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন হরমোন। এই উপাদানটির মাত্রা হেরফের হলেই রক্তে শর্করার পরিমাণে বেড়ে বা কমে যেতে পারে। জিরেতে রয়েছে ‘কিউমিনালডিহাইড’, যা ইনসুলিনের উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। তাই পরিমিত পরিমাণে জিরে খাওয়া ডায়াবিটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্যও ভাল।
৪) ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্য বজায় রাখে
ঋতুবন্ধের সময়ে হরমোনের মাত্রায় হেরফের হওয়া স্বাভাবিক। অথচ এই সময়ে মহিলাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইস্ট্রোজেনের জোগান থাকা জরুরি। গবেষণা বলছে, জিরেতে ইস্ট্রোজেনের মতোই একটি যৌগ রয়েছে। যা ফাইটোইস্ট্রোজেন নামে পরিচিত। এই ফাইটোইস্ট্রোজেন ঋতুবন্ধের সময়ে শারীরিক নানা রকম জটিলতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৫) শ্বাসযন্ত্র ভাল রাখে
জিরে দিয়ে তৈরি তেল শ্বাসযন্ত্রের নানা রকম সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই তেলের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল থায়মল। শ্বাসযন্ত্রে ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকঘটিত রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতেও সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy