ছবি: সংগৃহীত
বৃষ্টি পড়তেই মনটা কেমন যেন তেলেভাজার জন্য আনচান করতে থাকে। অন্য সময়ে ভাজাভুজি খাওয়া নিয়ে সহকর্মীদের বিস্তর জ্ঞান দিলেও এই বর্ষাকালে ছুটির সন্ধ্যায় মুড়ির সঙ্গে চপ, বেগুনি, শিঙ্গাড়া কিংবা ফুলুরি না থাকা যেন বাঙালিকে অপমান করারই সমান। তবে তেলে ভাজা সেই সব খাবার খাওয়ার পরই অপরাধ বোধে ভুগতে পারেন স্বাস্থ্য সচেতনরা। অনেকেরই আবার বেসনে অ্যালার্জি থাকে। তাঁরা ডালবাটা বা বেসনের পরিবর্তে ব্যবহার করতেই পারেন মিলেট। পকোড়া তৈরি করতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন মিলেট?
১) জোয়ার পিঁয়াজের পকোড়া
একটি পাত্রে জোয়ার বা সরঘম ভিজিয়ে রাখুন। অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। এ বার জল থেকে ছেঁকে তুলে নিন। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন পেঁয়াজ কুচি, সামান্য নুন এবং গোলমরিচ। মুচমুচে হওয়ার জন্য উপর থেকে সামান্য চালের গুঁড়োও ছড়িয়ে নিতে পারেন। এ বার ননস্টিক কড়াই কিংবা চাটুতে অল্প তেল দিয়ে সেঁকে নিলেই হল।
২) সামুলু পকোড়া
জোয়ারের বিকল্প হতে পারে সামুলু বা লিট্ল মিলেট। একই ভাবে জলে ভেজানো সামুলু দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন পকোড়া। সঙ্গে মেশাতে পারেন পছন্দের বিভিন্ন সব্জিও।
৩) ফক্সটেল মিলেট পকোড়া
দক্ষিণ ভারতে এই মিলেট দিয়ে বড়া খাওয়ার চল রয়েছে। তবে এই ‘ফক্সটেল মিলেট’ বা কাওন চালের সঙ্গে একটু ডাল মিশিয়ে নিলে তা আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। সঙ্গে সামান্য নুন আর কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে, ডুবো তেলে ভেজে তুলে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পকোড়া।
৪) মাধুয়া পকোড়া
বিহারে ‘ফিঙ্গার মিলেট’ই মাধুয়া নামে পরিচিত। এই মিলেটের আটা দিয়েই সাধারণ পকোড়া তৈরি করা হয়। সঙ্গে সামান্য নুন, জোয়ান এবং জিরে গুঁড়ো দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন পকোড়া। চাইলে মেশাতে পারেন মেথি শাকের কুচিও।
৫) কম্বু পকোড়া
পার্ল মিলেটকে দক্ষিণ ভারতে বলা হয় কম্বু। অনেকটা সাবুর মতো দেখতে ছোট ছোট দানা হয়। এই কম্বু জোয়ারের মতোই জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এ বার নুন, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে পকোড়ার মতো ভেজে নিলেই তৈরি কম্বু পকোড়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy