কে কী ধরনের মাথায় তেল মাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
পুজো আসতে তো আর বেশি দিন নেই। তাই এখন থেকেই চুলের যত্ন নিতে শুরু করেছেন। বন্ধু, সহকর্মী যে যা মাখতে বলছে সময়-সুযোগ পেলে সবই মেখে নিচ্ছেন। রাতে ঘুমোনোর আগে তেলও মাখছেন। কিন্তু চুল ভাল হওয়া তো দূর। উল্টে মুঠো মুঠো চুল পড়ছে। ভুলটা কোথায় হচ্ছে বলুন তো?
তেলে, জলে চুল ভাল হয়। তবে আয়ুর্বেদ বলছে, সব তেল সকলের জন্য নয়। তেল মাখার পর হুড়মুড় করে চুল উঠতে শুরু করলে তেলের ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে দিয়ে লাভ নেই। মাথার ত্বকের ধরন বা সমস্যা বুঝে সঠিক তেল নির্বাচন করতে না পারলে চুল উঠবেই। তার চেয়ে বরং জেনে নিন কোন তেল মাখলে চুলের কোন সমস্যা বশে থাকবে।
কালোজিরের তেল:
চুল খুব পাতলা। তাই মাথায় তেল মাখতে চান না অনেকেই। এই ভুলেই নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে আসে। তবে কেশচর্চা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, যেমন-তেমন তেল নয়, পাতলা চুলে কালোজিরের তেল মাখলে উপকার মিলবে।
মেথির তেল:
মাথার ত্বকে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ বা খুশকি হলে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে মেথির তেল ব্যবহার করেন অনেকে। এই টোটকা কিন্তু বেশ কাজের। মাথার ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে এই তেল মাখা যেতে পারে।
টি ট্রি অয়েল:
মাথার ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে। তা সত্ত্বেও খুশকি হয়। তবে এই খুশকি কিন্তু মাথা থেকে ঝরে পড়ে না। মাথা চুলকালে অনেক সময়ে নখের কোণে উঠে আসে। এই সমস্যায় কিন্তু মেথির তেল কাজ করবে না। বরং টি ট্রি অয়েল মাখলে মাথার ত্বকের সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
রোজ়মেরি অয়েল:
মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রোজ়মেরি অয়েল মাখা যেতে পারে। স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হলেও এই অয়েল মাখা যায়।
কাঠবাদামের তেল:
ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঠবাদামের তেল। নিষ্প্রাণ চুলে জেল্লা ফেরাতে এই তেলের বিকল্প নেই। যাঁরা চুলে খুব ঘন বা ভারী তেল মাখতে পছন্দ করেন না, তাঁদের জন্য কাঠবাদামের তেল উপকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy