ত্বকের রঙের সঙ্গে মানিয়ে ফাউন্ডেশন কিনতে হয়। লিপস্টিক, নেলপলিশ, ব্লাশ, হাইলাইটার বা কাজলের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলেন অনেকে। অনলাইনে কিনলে আলাদা কথা। কিন্তু দোকানে এই ধরনের প্রসাধনী কিনতে গেলেই আগে ‘টেস্টার’ ব্যবহার করিয়ে রং পছন্দ করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, এই অভ্যাসই যে ত্বকের বিপদ ডেকে আনছে সে কথা অনেকেই জানেন না।
আরও পড়ুন:
কী এমন আছে এই ধরনের ‘টেস্টার’ প্রসাধনীতে?
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের ‘টেস্টার’ থেকে ত্বকের নানা ধরনের অ্যালার্জিজনিত সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, ওই একটি প্রসাধনীই সকলের ত্বকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এক জনের শরীর থেকে ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস এবং প্যাথোজেন অন্য জনের শরীরে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। প্রসাধনী দেখানোর আগে যদি ক্রেতার হাত জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা থাকে তা হলে বিষয়টা অন্য রকম। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তেমনটা হয় না।
আরও পড়ুন:
মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী দোকানে বিক্রি করা যায় না। অনেক সময়ে সেগুলিকে টেস্টার হিসাবে ব্যবহার করেন বিক্রেতারা। স্পর্শকাতর ত্বকে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী ঘষলে তৎক্ষণাৎ অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, লিপস্টিক বা নেলপলিশের ক্ষেত্রে তবু বিষয়টা এক রকম। কিন্তু চোখ সাজিয়ে তোলার প্রসাধনী থেকে এমনটা হলে সমস্যা কিন্তু জটিল হতে পারে। সেই কারণে কাজল, মাস্কারা, আইলাইনার কিংবা আইশ্যাডো সরাসরি চোখে মেখে দেখতে নিষেধ করা হয়।