ছবি: প্রতীকী
শরীরের সঙ্গে মনের যে গভীর যোগ রয়েছে, তা অনেকেই জানেন। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলেও যে মন ভাল রাখতে হয়, তা জানতেন কি? মনোবিদেরা বলছেন, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে সাধারণত মন ভাল থাকারই কথা। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে অন্যথা ঘটে। ডায়েট এবং শরীরচর্চা করার পরও কাঙ্ক্ষিত ওজন পেতে সমস্যা হতে পারে। কোনও ব্যক্তির উচ্চতা এবং বয়স অনুযায়ী দেহের ওজন কেমন হওয়া উচিত, তা পুষ্টিবিদেরাই বলে দেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, দেহের অতিরিক্ত ওজন শরীর এবং মনের উপর যে প্রভাব ফেলে, তা অন্যান্য দুরারোগ্য ব্যধির চেয়েও কঠিন। তাড়াতাড়ি ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি?
১) নিজের চেহারা সম্পর্কে ভুল ধারণা
প্রথমেই নিজের সম্পর্কে এই ভুল ধারণা ত্যাগ করতে হবে। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে চাইলে প্রতি দিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চেহারা কতটা কমল বা বাড়ল, তা নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগা বন্ধ করতে হবে।
২) সব বিষয়ে বেশি চিন্তা করা
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা সব কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন, তাঁদের ওজন ঝরানো বেশ সমস্যাদায়ক হয়। মনোবিদেরা বলছেন, একেবারে কিছু না ভেবে অলসের মতো বসে থাকা এবং বড্ড বেশি ভেবে ফেলা— দুই ক্ষেত্রেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে।
৩) অবসাদগ্রস্ত হয়ে থাকা
অবসাদের সঙ্গে দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার যে নিবিড় যোগ রয়েছে, তা-ও বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। অবসাদে ভোগা মানুষ, মন ভাল রাখতে যখন যা ইচ্ছে তা খেয়ে ফেলেন। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রেণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে।
৪) মানসিক চাপ
মানসিক চাপ থেকে মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদানগুলির মাত্রায় হেরফের ঘটে যায়। ফলে কর্টিজ়লের মতো স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যার প্রভাব পড়ে ওজনের উপরে।
৫) অপর্যাপ্ত ঘুম
মন ভাল নেই। তাই রাত জেগে ওটিটি দেখছেন। তাতে সাময়িক মন ভাল হলেও ওজন কমার আশা না করাই ভাল। মনোবিদেরা বলছেন, সুস্থ থাকতে এবং স্বাভাবিক ওজন ধরে রাখতে অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy