ছবি: প্রতীকী
কোনও ঘটনার অভিঘাত কেমন হতে পারে, তা আগে থেকে ভেবে নেওয়া ভাল। তবে সেই বিষয়টি নিয়ে এমন চিন্তা করছেন যে, নাওয়াখাওয়া ভুলে যাচ্ছেন। রাতের পর রাত জেগে বসে রয়েছেন। দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আগু-পিছু ভেবে নেওয়া জরুরি। তাতে ভুল পদক্ষেপ করার আশঙ্কা অনেকটাই কমে। মনোবিদেরা বলছেন, যে কোনও বিষয়ে চিন্তা করা আসলে মস্তিষ্কের ঘাম ঝরানো। তাতে সমস্যার কিচ্ছু নেই। তবে চিন্তার ‘অ্যাক্সিলেরেটর’ যেমন থাকবে, তেমন ‘ব্রেক’টাও যেন নিজের হাতে থাকে। এটি আসলে একটি অভ্যাস। এক দিনে তা নিজের মুঠোয় করে ফেলা সহজ নয়। নিজেকে নিয়ে, নিজের কাজ নিয়ে সন্দেহ থাকলে, ভাবনার উপর লাগাম টানা যাবে না। উল্টে অবসাদ, উদ্বেগ এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
১) সবচেয়ে খারাপ কী হতে পারে?
যে কোনও পরিস্থিতির সবচেয়ে খারাপ পরিণতি কী হতে পারে, তা ভেবে নেওয়া ভাল। তবে তারও একটা সীমা থাকা প্রয়োজন। না হলে মনের উপর তার প্রভাব পড়তে বাধ্য।
২) ভাবতে বাধা নেই
খারাপ চিন্তা মাথায় এলে তাতে লাগাম থাকে না। তবে মনোবিদেরা বলছেন, ভাবনাচিন্তায় লাগাম রাখা জরুরি। না হলে মনের উপর চাপ পড়া স্বাভাবিক।
৩) হীনম্মন্যতা
‘অন্যের যা আছে, আমার তা নেই কেন’, এই চিন্তা থেকে অনেকেই হীনম্মন্যতা ভোগেন। শারীরিক ভাবে তো বটেই, মানসিক দিক থেকেও ক্লান্ত বোধ করেন অনেকে।
৪) নিজেকে ছোট করে দেখা
কারও মুখে নিজের সম্পর্কে খারাপ কথা শোনা মাত্রই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায় অনেকের। এই অভ্যাস থেকেও কিন্তু মনের উপর চাপ পড়া স্বাভাবিক। কারও কারও ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
৫) উদ্বেগ
নিজেকে নিয়ে ভাবতে গিয়ে পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে যায় যে, জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অনেকে। তাই চিকিৎকেরা বলছেন, খারাপ চিন্তা মনে আসবে না, এমন নয়। তবে তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা থাকা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy