এইচএমপিভি-র মতো সংক্রামক ভাইরাস থেকে বাঁচতে কী কী খাবেন, আর কী নয়? ছবি: ফ্রিপিক।
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিশ্বেজুড়ে। চিনে প্রথম এই রোগ নিয়ে হইচই শুরু হয়। এখন ভারত-সহ আরও কিছু দেশেও এই ভাইরাস ঘটিত রোগ ঢুকে পড়েছে বলে খবর। এ দেশেও সংক্রমিত হয়েছেন কয়েক জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল’ আগেই সাবধান করে জানিয়েছে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। শিশুদের সঙ্গে বয়স্করাও রয়েছেন সেই তালিকায়। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে কেবল মাস্ক পরা বা পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিলেই হবে না, শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়াতে হবে। সে জন্য নজর দিতে হবে খাওয়াদাওয়ায়।
এইচএমপিভি-র সংক্রমণ ঠেকাতে রোজের ডায়েটে ভিটামিন সি, ডি, জ়িঙ্ক, প্রোবায়োটিক ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার রাখতেই হবে। এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র একটি নির্দেশিকা রয়েছে। ভাইরাস থেকে বাঁচতে কোন কোন খাবার রোজের পাতে রাখা উচিত আর কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয়, তা জেনে নিন।
কী কী খাবেন?
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রোজের পাতে রাখতেই হবে। কমলালেবু, লেবু, আঙুর জাতীয় ফল, ক্যাপসিকাম রোজের পাতে থাকলে ভাল হয়। ভিটামিন সি ফুসফুসের জোর বাড়ায় ও জীবাণুর সংক্রমণ জনিত রোগ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়।
কাঁচা রসুন কাটলে বা বাটলে যে ঝাঁঝালো গন্ধ বেরোয়, তার মূলে আছে অ্যালিসিন। মাপমতো খেলে তা ওষুধের মতো কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রাও বেশি থাকে কাঁচা রসুনে। কোভিডের সময়েও শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে রসুন খাওয়ার কথা বলেছিলেন অনেক চিকিৎসকই। একই ভাবে কাঁচা হলুদ খাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কাঁচা হলুদের রস সামান্য নুন মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে খেলে অনেক অসুখ সারে। ভিটামিন ই বা ভিটামিন সি-র তুলনায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি কার্যকরী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবারও খেতে হবে। যে কোনও রকম মাছে ওমেগা-৩ থাকে। যাঁরা আমিষ খান না, তাঁরা আখরোট, তিসির বীজ, বিভিন্ন রকম বাদাম খেতে পারেন। পালং শাক-সহ বেশ কয়েকটি শাকসব্জিতে কম মাত্রায় হলেও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে। এ ছাড়া সয়াবিনেও ওমেগা-৩ থাকে। ওমেগা-৩-এর পাশাপাশি রোজের পাতে প্রোবায়োটিক হিসেবে টক দই রাখাও উপকারি।
কী কী খাবেন না?
১) বেশি চিনি দেওয়া খাবার, ঠান্ডা পানীয়, মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলেই শরীরে প্রদাহ বাড়বে।
২) খুব বেশি ভাজাভুজি, তেলমশলা দেওয়া খাবার খাওয়া চলবে না।
৩) রাস্তার কাটা ফল, স্যালাড খেলেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকবে।
৪) অ্যালকোহলের মাত্রা পরিমিত করতে হবে। নুন বেশি, এমন খাবার কম খেতে হবে।
৬) কোনও রকম প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটের খাবার খাওয়া চলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy