প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডিয়োডোর্যান্ট ব্যবহার করা ভাল নয়। ছবি: সংগৃহীত।
কাজে বেরোনোর আগে বা কাজ থেকে ফিরে স্নান করেই ডিয়োডোর্যান্ট মাখার অভ্যাস অনেকেরই আছে। গায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সুগন্ধি ব্যবহার করেন অনেকেই। স্নান করে ডিয়োডোর্যান্ট মাখা প্রায় নিয়মে পরিণত হয়ে গিয়েছে অনেকের কাছে। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, এই অভ্যাস কিন্তু ব্যক্তিগত রুচি এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক নীনা বোট্ট বলেন, “সুগন্ধি ব্যবহার করার বিষয়ে এক একজনের রুচি, পছন্দ এক এক রকম হতেই পারে। কিন্তু তা কখনওই দাঁত মাজা বা মুখ ধোয়ার মতো নিয়মের পর্যায়ে পড়তে পারে না।”
নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসক জশুয়া জেসনার বলেন, “আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি, যেখানে গায়ের দুর্গন্ধ, ঘামে ভেজা পোশাক নিয়ে নানা রকম ছুৎমার্গ রয়েছে। তাই সমাজের চাপে পড়েই সুগন্ধি ব্যবহার করেন অনেকে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, ডিয়োডোর্যান্ট কিন্তু ঘামের পরিমাণে কোনও হেরফের ঘটাতে পারে না। বরং অ্যান্টিপার্সপির্যান্ট-জাতীয় সুগন্ধি ত্বকের ভিজে ভাব কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারে।”
চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘাম নির্গত হওয়ারও তো একটা কারণ রয়েছে। ঘামের নির্গমন দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অনেকেই হয়তো জানেন না, ঘামের কিন্তু নিজস্ব কোনও গন্ধ নেই। ত্বকে থাকা ব্যাক্টেরিয়া ঘামের সঙ্গে মিশলে গায়ে দুর্গন্ধ হয়। তাই যাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, তাঁরা রাতে ঘুমোনোর আগে গায়ে অ্যান্টিপার্সপির্যান্ট-জাতীয় সুগন্ধি মেখে রাখতে পারেন। কিন্তু ঘামের পরিমাণ কম হলে এই টোটকার প্রয়োজন নেই। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে নিয়মিত স্নান করলে এবং কাচা পোশাক পরলেই অনেকটা কাজ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy