হাঁটুর ব্যথায় কাবু না হয়ে যোগাসন করুন। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই হাঁটুর ব্যথায় কাবু হন। বিশেষত এ দেশের মহিলাদের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিস, অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের সমস্যা বেশি দেখা যায়। ফলে অনেক সময়েই একটা বয়সের পরে চিকিৎসকেরা ক্যালশিয়ামের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু এখন বয়স বাড়লেই যে শুধু হাঁটু ব্যথা করবে, তেমনটা নয়। ইদানীং কম বয়স থেকেই হাঁটুর ব্যথায় ভোগেন অনেকে। মধ্য তিরিশেও হয়তো হাঁটুর ব্যথায় সিঁড়ি ভাঙা বন্ধ। দু’পা হাঁটলেই যেন হাঁটুটা কনকন করে ওঠে। শরীরচর্চার অভাব, ওজন বৃদ্ধি, এক জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে কাজ— এ সবই অল্পবয়সিদের হাঁটুর ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ। নিয়ম করে আধ ঘণ্টা সঠিক ভঙ্গিতে যোগাসন করলেই হাঁটুর ব্যথা কমতে পারে। জেনে নিন কোন কোন আসন করলে পাবেন সুফল।
ভুজঙ্গাসন
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।
পশ্চিমোত্তনাসন
প্রথমে দুই পা টান টান করে সোজা হয়ে বসুন। শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত-সহ কোমর থেকে সামনের দিকে বেশ খানিকটা ঝুঁকে মুখ হাঁটুতে স্পর্শ করুন। আসন করার সময় পেট ভিতরের দিকে হালকা টেনে রাখুন। আগের অবস্থায় ফেরার সময়ে শ্বাস নিতে নিতে হাত ওঠান এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে নিন। দিনে তিন থেকে পাঁচ বার এটি করুন।
সেতুবন্ধ সর্বাঙ্গাসন
মেঝেতে পিঠ সোজা করে শুয়ে পড়ুন। এর পর হাঁটু দু’টি বেঁকিয়ে নিন। মেঝেতে হাত দু’টি সোজা করে ছড়িয়ে রাখুন। পায়ের পাতা এবং হাত দিয়ে খুব শক্ত করে মেঝেতে ভর দিয়ে রাখুন। এর পর ধীরে ধীরে শরীরের পশ্চাৎ অংশ মেঝে থেকে উপরের দিকে তুলে ধরুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy