তিন টনিকেই ঠান্ডা লাগা গায়েব। ছবি: সংগৃহীত।
শীত এখনও পড়েনি। কিন্তু তার আগেই সর্দি-কাশি, জ্বরের সমস্যায় ভুগছে বাঙালি। সবে শেষ হয়েছে উৎসবের পর্ব। উৎসব চলাকালীন অনিয়ম হয়েছে দেদার। রাত জেগে ঠাকুর দেখার ফলে হিম পড়েছে মাথায়। সেই সঙ্গে ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম খাওয়া তো আছেই। সেখান থেকেই গলাব্যথা, হাঁচি শুরু হয়েছে অনেকেরই। বাস, ট্রাম, মেট্রো মুখর হয়ে উঠেছে হাঁচি-কাশির শব্দে। একেবারে পাশে বসা সহকর্মীর ঘন ঘন নাক টানার আওয়াজও কানে আসছে। ঠান্ডা লাগা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে অনেকেরই প্রথম ভরসা ওষুধ। ওষুধ সাময়িক স্বস্তি দিলেও পুরোপুরি ফিট হতে তিন ঘরোয়া টনিকের কোনও বিকল্প নেই।
গোলমরিচ এবং মধুর টনিক
মধু এবং গোলমরিচ— দুই-ই ঠান্ডা লাগা থেকে দ্রুত স্বস্তি দেয়। গোলমরিচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। কী ভাবে বানাবেন এই পানীয়? এক কাপ গরম জলে গোলমরিচ গুঁড়ো এবং মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। গলা খুসখুস থেকে নাক টানা, সবেরই সমাধান লুকিয়ে এই পানীয়ে।
আদা এবং লেবুর টনিক
সর্দি-কাশি কমানোর আরও একটি কার্যকরী ওষুধ হল এই টনিক। লেবুতে আছে ভিটামিন সি এবং উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আদা কুচি, গোলমরিচ এবং আধ কাপ মতো লেবুর রস মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। মিশ্রণটি দিনে ২-৩ বার খেতে পারলে সত্যিই মিলবে সুফল।
তুলসী টনিক
বাড়িতে তুলসী পাতা থাকলে সর্দি-কাশি নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও মানে নেই। তুলসীর মতো উপকারী পাতা খুব কমই আছে। সকালবেলা উঠে যদি দেখেন গলাব্যথা করছে কিংবা গা ম্যাজম্যাজ করছে, তুলসী আর মধু দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। খেলে উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy