ছবি: সংগৃহীত
রাজ্য জুড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১০৯৮ জন। কলকাতায় সেই সংখ্যাটা ৫৫৫৬ জন। দৈনিক হিসাবে যেটা বেশ উদ্বেগজনক। তবে করোনার আগের দু’টি পর্যায়ের তুলনায় সাম্প্রতিক এই স্ফীতিতে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাটা শতাংশ হারে বেশ কম। মৃদু উপসর্গ নিয়ে অধিকাংশ মানুষ নিভৃতবাসে রয়েছেন। কোভিড পজিটিভ হয়ে নিভৃতবাসে থাকাকলীন সংক্রামিত ব্যক্তিরা কিছু কিছু ভুল করে ফেলছেন, যা পরবর্তীকালে সমস্যার কারণ হতে পারে। আনন্দবাজার অনলাইনের ‘ভরসা থাকুক’ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে এই বিষয়টি স্পষ্ট করলেন চিকিৎসক অদ্রিজা রহমান মুখোপাধ্যায়।
অদ্রিজা বললেন, ‘‘ইদানীং দেখা যাচ্ছে যে জ্বর ১০০ না ছুঁলে প্যারাসিটামল না খাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে অনেকের মধ্যেই। কিন্তু এটা একেবারেই ভুল ধারণা। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক দাগ বাড়লেও অন্তত এই পরিস্থিতিতে একটা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়ে নেওয়া উচিত। অনেকে তো আবার পজিটিভ হওয়ার পরেও এমন কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যে পরবর্তী ক্ষেত্রে তা সমস্যাজনক হতে পারে।’’
করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসার পর আর কোন ধরনের ভুল করতে দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের?
অদ্রিজার উত্তর, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বাড়িতে একসঙ্গে দু’জন আক্রান্ত হলে একজন অপরজনের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ খাচ্ছেন। এটা ঠিক নয়। কারণ সকলের শারীরিক অবস্থা এক থাকে না। এ ছাড়াও অক্সিজেন স্যাচুরেশন নিয়েও অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। আমি বলব অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপার আগে শান্ত হয়ে বসে পাঁচ বার জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে তবে মাপা উচিত। এতে ফলাফল ঠিক আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অনেকেই একবার মেপেই ভুল রিডিং পান। একটু বসে অন্য আঙুলেও মেপে দেখা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy