শিশুদের নিয়মিত চিয়া বীজ খাওয়ানো যায়? ছবি: সংগৃহীত।
রক্তে বাড়তি শর্করা কিংবা স্থূলত্বের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে চিয়া বীজ ভেজানো জল খান বাড়ির সকলেই। চিয়া বীজ ভেজানো জল খাওয়া ভাল বলে পরিবারের খুদেটিকেও প্রায় ধরেবেঁধে চিয়া ভেজানো জল খাওয়ান মায়েরা। বাড়ন্ত বয়সে সঠিক ভাবে পুষ্টির জোগান দিতে না পারলে বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নানা রকম সমস্যা চেপে ধরবে। একপ্রকার সেই চিন্তা থেকেই চিয়া বীজ খাওয়ানো। বছর দশেকের সোহিনী বেজার মুখে জানায়, “রোজ সকালে উঠে ওইটা খেতে হয়। না হলে মা চোখ বড় বড় করে।” সোহিনীর মা অবশ্য জানিয়েছেন, সোহিনীর মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক বেশি। সমাজমাধ্যম ঘেঁটে তিনি জেনেছেন, চিয়া বীজ খেলে শিশুদের টাইপ-১ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। স্থূলত্বও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই এই পন্থা। কিন্তু, শিশুদের নিয়মিত চিয়া বীজ খাওয়ানো কি আদৌ ভাল? কতটা পরিমাণ চিয়া শিশুদের খাওয়ানো যায়? শিশুরোগ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের কথায়, “শিশুদের চিয়া বীজ খাওয়ানো নিয়ে যদিও তেমন কোনও গবেষণা নেই। আমার মনে হয়, খাওয়ালেও খুব ক্ষতি হবে না।”
চাউমিন, চিপ্স, বার্গার, পিৎজ়া, মোমোর মতো বাইরের খাবার খাওয়ার ঝোঁক থাকে শিশুদের। কর্মরত বাবা-মায়েরাও সময় বাঁচাতে প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপর বেশি নির্ভর করেন। ফলে শিশুদের মধ্যে স্থূলত্বের সমস্যা দেখা দিতেই পারে। অপূর্ব বলেন, “শিশুদের স্থূলত্ব খানিকটা মা-বাবার জিনের উপরেও নির্ভর করে। শুধু চিয়া খাইয়ে কিন্তু সেই প্রবণতা প্রতিরোধ করা যায় না। তার জন্য শরীরচর্চা, ডায়েট এবং জীবনযাপনে বদল আনা জরুরি।”
শিশুরা একেবারেই জল খেতে চায় না। ফাইবার-যুক্ত খাবার খেতে তাদের বিপুল আপত্তি। তাই কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দেয়। চিয়া বীজ কিন্তু এই দু’টি সমস্যারই সমাধান করতে পারে। কারণ, চিয়া বীজ শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চিয়া বীজে ফাইবারও রয়েছে। তাই বলে রোজ সকালে ঘুম থেকে তুলেই শিশুকে চিয়া বীজ ভেজানো জল খাওয়াতে হবে, তেমনটা মনে করেন না পুষ্টিবিদ ও যাপন সহায়ক অনন্যা ভৌমিক। অনন্যার মতে, “স্মুদি, ফলের রস বা পুডিংয়ের মধ্যে একটু চিয়া বীজ মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যে হেতু চিয়া বীজের মধ্যে নানা রকম খনিজ রয়েছে, তাই শিশুদের জন্য তা কোনও ভাবেই ক্ষতিকর নয়।”
সারা দিনে কতখানি চিয়া বীজ শিশুদের খাবারে দেওয়া যায়, তা নিয়েও বিশেষ কোনও নির্দেশিকা নেই। তবে চিয়া ভেজানো জল, ফলের রস বা স্মুদি— কোনও ক্ষেত্রেই এক বা দুই চা চামচের বেশি চিয়া মেশানোর প্রয়োজন পড়ে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy