মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য ভিটামিন ডি। সূর্যালোক শরীরে প্রবেশ করার পর চর্বির মধ্যে এই পুষ্টি উপাদানটি তৈরি হয়। তবে সূর্যের আলো ছাড়াও একাধিক খাবারও ভিটামিন ডি-র উৎস। হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখা থেকে শুরু করে মানসিক রোগ দূর করা, সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি। কিন্তু ভিটামিন ডি-র ঘাটতি খুবই সাধারণ সমস্যা। ২০২৩ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, আমেরিকায় ৩৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে ভুগছেন। এর ফলে বেশ কয়েকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ক্যানসারের ঝুঁকি এবং লিভার ও কিডনির রোগ ইত্যাদি।
তাই ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে গেলে অবহেলা করা উচিত নয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ খাওয়া দরকার অথবা খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা দরকার।

ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগলে কী কী খাবেন জেনে নিন। ছবি: সংগৃহীত।
নিউ ইয়র্কের পুষ্টিবিদ আমেলিয়া শেরি সেই সব খাবারের সন্ধান দিলেন, যেগুলি থেকে প্রাকৃতিক ভাবে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ কিছু খাবারের তালিকায় রয়েছে:
কমলালেবুর রস (অরেঞ্জ জ্যুস)
ফর্টিফায়েড খাবারে ভাল পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। ফর্টিফায়েড খাবার হল সেই সব খাবার, যেগুলিতে অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান মেশানো হয়, যাতে মানুষের শরীরে ঘাটতি পূরণ করা যায়। ভিটামিন ডি পেতে অরেঞ্জ জ্যুসেও ভরসা রাখা যেতে পারে।
কড লিভার অয়েল
ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎস হল কড লিভার অয়েল।
দুধ
কেবল ক্যালশিয়াম নয়, ভিটামিন ডি-তেও সমৃদ্ধ দুধ। তবে ফর্টিফায়েড দুধে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
দই
ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক রাখার জন্য প্রতি দিন দুপুরে খাবার পর এক বাটি টক দইয়েই সমস্যার সমাধান। প্রোবায়োটিক, ক্যালশিয়ামে ভরপুর দুগ্ধজাত এই পণ্যের কোনও তুলনা হয় না।
স্যামন মাছ
স্যামনের মতো চর্বিযুক্ত মাছকে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের প্রধান উৎস হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন পুষ্টিবিদ। বাংলার বাজারে যদিও খুব সহজে স্যামন মাছ পাওয়া যায় না। তবে এই মাছে ভাল পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।
সার্ডিন
ভিটামিন ডি-এ ভরপুর এই মাছ। তা ছাড়াও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করা এবং চুল পড়া রোধ করার ক্ষমতা রয়েছে সার্ডিন মাছের। যদিও বাঙালিদের কাছে এই মাছও খুব সহজলভ্য নয়।