সাঁইথিয়ায় শিশুদের নাটক। নিজস্ব চিত্র।
শীত পড়তেই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে উঠেছে সাঁইথিয়া।
স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই নাটক, নৃত্য-সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করেছে। বড়দিন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবারই এ বারের শীতকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করে স্থানীয় ‘নৃত্যাঙ্গন’ সংস্থা। শুক্রবার সন্ধ্যায় আবার ‘সাঁইথিয়া সব পেয়েছি আসরে’র ব্যবস্থাপনায় স্বপন বুড়ো মঞ্চে দু’টি একাঙ্ক নাটক পরিবেশন করেছে স্থানীয় ভবানীপুর সপ্তপ্রদীপ সংস্কৃতি সংস্থা। দু’টি নাটকই পরিচালনা করেন সংস্থার সম্পাদক সুব্রত ঘটক। লেখকও তিনিই। দৈনন্দিন জীবনের বাস্তব ঘটনা নিয়ে তৈরি নাটক ‘প্ল্যাটফর্ম’ দর্শক মনে দাগ কেটেছে। নাটকের দশটি চরিত্রেই অভিনয় করেছে সপ্তপ্রদীপের শিশুশিল্পীরা। প্রত্যেকের অভিনয়ই আলাদা করে প্রশংসার দাবি রাখে। সংস্থার দ্বিতীয় নাটক ‘বোলান ফিরবে’ সামাজিক অবক্ষয়ের একটি বাস্তব দিককে তুলে ধরেছে। নাটকে বিশেষ করে সুব্রত ঘটক এবং স্নিগ্ধা দে-র অভিনয় নজর কেড়েছে। তবে, দু’টি নাটকেই আলো এবং আবহযন্ত্রের ব্যবহারে আরও একটু যত্নের দরকার রয়েছে বলে দর্শকদের অভিমত।
অন্য দিকে, শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে সাঁইথিয়া ‘ওয়েক আপ’ নাট্যদল আয়োজিত পাড়া পড়শির থিয়েটার। উত্সবের দ্বিতীয় বর্ষে ওই নাট্যগোষ্ঠী স্থানীয় শশিভূষণ দত্ত বালিকা বিদ্যালয়ে নাট্য বিষয়ক আলোচনা সভারও আয়োজন করেছিল। সেখানে শহরের বহু প্রবীণ এবং নবীন নাট্যকর্মী হাজির ছিলেন। অনুষ্ঠানে সংস্থার স্মারক সংখ্যা প্রকাশের পাশাপাশি শহরের তিন প্রবীণ নাট্যকর্মী ভূদেব পাল, কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অংশু সরকারকে ‘ওয়েক আপ সম্মান’ দেওয়া হয়। সংস্থার সম্পাদক পান্নালাল ভট্টাচার্য জানান, রবিবার থেকে স্থানীয় রবীন্দ্র ভবনে তিন দিনের নাট্যোত্সব শুরু হয়েছে। প্রথম দিন সন্ধ্যায় ‘ঋককথা’র সাঁইথিয়া শাখা প্রযোজিত নৃত্যানুষ্ঠান হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের শেষে ‘ওয়েক আপ’ নাট্যদল প্রযোজিত নাটক ‘মিনিরা ভোলেনি’ মঞ্চস্থ হয়েছে। ওই দিনই দ্বিতীয় নাটক ছিল ‘কন্যা তোর’। নাট্য উত্সব শেষ হবে মণীশ মিত্র রচিত ও নির্দেশিত কলকাতার ‘কসবা অর্ঘ্য’ নাট্যগোষ্ঠীর প্রযোজনা ‘হ্যামলেট যন্ত্রণা’।
এ দিকে, ৭ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ভবানীপুর আসর মাঠে বইমেলা ও নাট্যমেলার আয়োজন করছে ‘ভবানীপুর সপ্তপ্রদীপ’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy