অঙ্কিতা লোখন্ডে এবং ভিকি জৈন। ছবি: সংগৃহীত।
বিজয়ী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দিল না ভাগ্য। ‘বিগ বস্ ১৭’ ফাইনালের শেষ চার থেকে বেরিয়ে যেতে হল অঙ্কিতা লোখন্ডকে। বিজয়ীর ট্রফি উঠল মুনওয়ার ফারুকির হাতে। প্রথম দিন থেকেই অঙ্কিতা জান লড়িয়ে খেলেছেন। নজরে আসার জন্য স্বামী ভিকি জৈনকে প্রকাশ্যে অপমান করা থেকে বিগ বসের ঘরের বাকিদের সঙ্গে অভব্য আচরণ— কোনও কিছুই বাকি রাখেননি তিনি। ভিকি বেরিয়ে যাওয়ার পর অনেকেরই মনে হয়েছিল, জয়ী হওয়ার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন অঙ্কিতা। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় চতুর্থ স্থান থেকেই ছিটকে গেলেন অঙ্কিতা।
তীরে এসে তরী ডুবল অভিনেত্রীর। আর অঙ্কিতা বাদ পড়তেই চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ল স্বামী ভিকির। ‘বিগ বস্’-এর ঘরে নিত্য দু’জনের অশান্তি, ঝগড়া লেগে ছিল। সেই ঝগড়া থেকে ডির্ভোসের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়ে ফেলেছিলেন দু'জনে। তবে যতই হোক, স্ত্রী বলে কথা। স্ত্রীর পরাজয়ে স্বামীর চোখে জল আসা অস্বাভাবিক নয়। ভিকিও যখন ‘বিগ বস্’-এর ঘর থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন, অঙ্কিতাও জল ধরে রাখতে পারেননি চোখের। ভেঙে পড়েছিলেন।
এই হার স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিতে পারেননি অঙ্কিতা। মুখে তিনি যতই বিষয়টিকে ‘স্পোর্টিংলি’ নেওয়ার কথা বলুন, আসলে মনে মনে অঙ্কিতা যে ক্ষুব্ধ, তা বেশ বোঝা গিয়েছে। অঙ্কিতার বেরিয়ে যাওয়ার খবর আসতেই ভিকি যখন কেঁদে ভাসাচ্ছেন, সেই সময় ‘টপ থ্রি ফাইনালিস্ট’ হওয়ার আনন্দে গানের তালে কোমর দোলাচ্ছেন মুনওয়ার, অভিষেক এবং মন্নরা। তবে অঙ্কিতার ছিটকে যাওয়ায় অবাক হয়েছেন বিগ বস্-এর সঞ্চালক সলমন খানও। সলমন তো বলেই দিলেন, ‘‘আমি তো ভেবেছিলাম, তুমিই জয়ী হবে।’’
বিগ বস্-এর মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অঙ্কিতার পাশে ছিলেন তাঁর মা। মায়ের হাত ধরেই বিগ বস্ ছাড়লেন তিনি। যাওয়ার আগে ধরা গলায় বলে গেলেন, ‘‘আমার মনে হয়েছিল, আমি যদি জিততে না পারি, তা হলে আমার হয়তো প্রচণ্ড মনখারাপ হবে। কিন্তু তেমন কিছুই হচ্ছে না, আমি ঠিক আছি। সবচেয়ে বেশি ভাল লাগছে এই ভেবে যে, আমার পাশে মা দাঁড়িয়ে আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy