উরফি রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের সন্তান বলে বহু বছর নিজের পছন্দমতো পোশাক পরতে পারেননি বলে দাবি তাঁর। উরফির কথায়, ‘‘জিন্স পরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। বুক ঢাকতে হত ওড়নায়। বাধা পেতে পেতে আমি আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি। এখন পোশাকের বিষয়ে কারও বারণ মানতে রাজি নই আমি।’’
উরফি জাভেদ
কেবল পোশাকের রঙে না, কায়দাতেও চোখে ঝিলমিল লাগিয়ে দিতে পারেন উরফি জাভেদ। ছকভাঙা মেয়েকে তার জন্য কম কথা শুনতে হয় না। কিন্তু তিনি সে সবে কান দেন না। নিজেই নিজের পোশাক বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেন ভক্তদের। তাঁর মতে, কেবল শরীর আড়াল করার জন্য নয়, স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার জন্যেও পোশাক বেছে নেন তিনি। তার জেরে বারবার কুমন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয় উরফিকে।
এ বারও তার অন্যথা হল না। আজব দাবি করলেন এক পড়ুয়া। সম্প্রতি একটি রিল ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন উরফি। তাঁর পিঠের উপরের অংশ অনাবৃত। নীচে গাঢ় নীল রঙের একটি স্কার্ট পরেছেন। চুল নিয়ে খেলা করতে করতে ক্যামেরার দিকে পিছন ফিরে হাঁটতে থাকেন অভিনেত্রী। তার পরে ক্যামেরার দিকে ফিরলে দেখা যায়, নীল রঙের বিকিনি পরে রয়েছেন তিনি। ঢাকা রয়েছে তাঁর শরীরের সামনের অংশ।
অজস্র অশ্লীল মন্তব্যের মধ্যে চোখ আটকেছে এক কলেজ পড়ুয়ার মন্তব্যে। মেয়েটির দাবি, তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেন। তাঁর মন্তব্য, ‘আমাকে ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনা করতে দিন দয়া করে। আমার বাবা-মা এ সব পোশাক দেখলে কলেজ ছাড়িয়ে দেবেন।’ পোশাক শিল্প নিয়ে পড়াশোনা করা সেই ছাত্রী যে উরফির পছন্দ নিয়ে যথেষ্ট বিরক্ত, তা প্রকাশ করলেন পোস্টের মন্তব্য বাক্সে।
কিন্তু উরফি ‘নেতিবাচক’ মন্তব্য নিয়ে চিন্তিত নন। একাধিক সাক্ষাৎকারে উরফি জানিয়েছেন, যারা ঠাট্টা বিদ্রুপ করে, তাদের উরফি পাত্তা দিতে চান না। নিজের শর্তে জীবন যাপন করতে চান তিনি। উরফি রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের সন্তান বলে বহু বছর নিজের পছন্দমতো পোশাক পরতে পারেননি বলে দাবি তাঁর। উরফির কথায়, ‘‘জিন্স পরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। বুক ঢাকতে হত ওড়নায়। বাধা পেতে পেতে আমি আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি। এখন পোশাকের বিষয়ে কারও বারণ মানতে রাজি নই আমি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy