আমিরের চোখে জল
রাজেশ খন্নার মেয়ে বলে কথা! তিনি অভিনেত্রী হবেন না তো কে হবেন! এ রকম অনেক কথাই শুনতে হয়েছে টুইঙ্কল খন্নাকে। অন্যের কথা শুনে সে জগতে পা-ও বাড়িয়েছিলেন টুইঙ্কল। কিন্তু নিজের প্রতিভা সম্পর্কে অবগত রাজেশ-কন্যা খুব তাড়াতাড়ি নিজের পথে ফিরে আসেন। বুঝতে পারেন, অভিনয় জগত তাঁর জন্য নয়। বরং তিনি লেখালেখি করতে চান। সমাজের জন্য যতটুকু সম্ভব, সেটুকুই করতে চান। ছবির জগতে ব্যর্থতা স্বীকার করতে কোনও দিন দ্বিধাবোধ করেননি তিনি। বিভিন্ন চ্যাট শো-তে নিজেকে নিয়ে মশকরা করেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। সে রকমই একটি পুরনো আড্ডার ভিডিয়ো ঘুরে বেড়াচ্ছে নেটমাধ্যমে। কিন্তু সেখানে কেবল টুইঙ্কল নয়, রয়েছেন সঞ্চালক কর্ণ জোহর ও আমির খান। সামনে এল তারকাদের অন্দর মহলের কথা।
আমিরের সঙ্গে টুইঙ্কলের খুনসুটির ঝলক পাওয়া গেল সে ভিডিয়োয়। বহু দিনের পুরনো বন্ধুত্ব তাঁদের। সেখানেই জানতে পারা গেল, টুইঙ্কলের প্রকৃত সমালোচক বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ আমির খান। বই লেখার সময়ে কিছু অংশ আমিরকে পাঠাতেন তিনি। আর আমির তাঁকে নিরুৎসাহ করার জন্য প্রস্তুত থাকতেন। আমিরের পরামর্শ ছিল ‘‘সবাই তো আমরা ক্রিকেট দেখি। কিন্তু তার মধ্যে কত জন আর ক্রিকেটার হতে পারি!’’ কিন্তু আদপে টুইঙ্কলকে নিয়ে গর্ববোধ করেন আমির। ভিডিয়োর কথাবার্তাতেই তা স্পষ্ট।
আমিরের দাবি, টুইঙ্কল এমন একটি গুণের অধিকারী, যার জুড়ি মেলা ভার। সবাই মন দিয়ে তাঁর কথা শুনছেন। কিন্তু শেষের চমকের জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। আর তা হল, ‘টুইঙ্কলের অপমান করার ক্ষমতা’! হেসে উঠলেন দর্শক-সহ অন্য দুই বলি তারকাও। এই দাবির প্রমাণ দিলেন আমির। কিন্তু তার জন্য খানিক ক্ষণ অপেক্ষা করতে হল দর্শকদের।
আমির ও টুইঙ্কলের ছবির প্রসঙ্গ উঠল কথোপকথনে। ‘মেলা’-র সেটের একটি ঘটনা জানা গেল টুইঙ্কলের সূত্রে। আমিরের মাথায় একটি নতুন ভাবনা আসছিল ছবিটি নিয়ে। তিনি পরিচালকের কাছে ছুটেছেন আলোচনা করতে। কিন্তু পরিচালক ধর্মেশ দর্শন তখন আমিরকে পাত্তা না দিয়ে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। টুইঙ্কল জানালেন, ‘‘আমি আমিরকে খুঁজছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে একটি পাথরের পিছনে গিয়ে দেখি আমির সেখানে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে!’’
এই গল্পের সত্যতা যাচাই করতে কর্ণ আমিরকে প্রশ্ন করেন, ‘‘টুইঙ্কল কি সত্যি বলছে? তুমি কাঁদছিলে পাথরের পেছনে গিয়ে?’’ আমিরের উত্তর, ‘‘সবাই দেখুন, টুইঙ্কল কী ভাবে আমাকে অপমান করে। এই রইল উদাহরণ।’’ উত্তর চেপে গেল হাসির রোলে। সত্যি হোক বা না হোক, আমির খানের এই অজানা গল্পটি জেনে মজা পেয়েছেন নেটাগরিকরা। তাই পুরনো ভিডিয়ো ফের ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy