সে সময়ে কলকাতায় তাঁর প্রথম বাংলা ছবি ‘ফেলু বক্সী’ মুক্তি পাবে। আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে দীর্ঘ অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকারে পরী মণি বলেছিলেন, “এত প্রেম করেছি! আমার মতো ফাটিয়ে প্রেম বোধহয় ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ করেনি। আমার প্রেমের তাই কোটা শেষ।” সমাজমাধ্যম বলছে, বাস্তবে কিন্তু সে পথে হাঁটছেন না দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে সে দেশের এই প্রজন্মের খ্যাতনামী গায়ক শেখ সাদীর। চলতি বছরের গোড়ায় একটি মামলায় আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় বাংলাদেশি নায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সেই সময়ও তাঁর জামিনদার হয়েছিলেন গায়ক। আদালতে পরী মণির পাশে দেখা গিয়েছিল সুরেলা যুবককে।
দিন এগিয়েছে, প্রেমের গুঞ্জন বেড়েছে এক ধাপ করে। কখনও দু’জনে একসঙ্গে গাড়িতে চড়ে নিরুদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন। কখনও সাদীর বুকে পরীর মাথা! সাক্ষী ছিল মাথার উপর উন্মুক্ত আকাশ, দখিনা বাতাস। সেই ছবি তিনি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিতেই টনক নড়েছে নেটাগরিকদের। আরে! এই হাতে যে ঘড়ি দেখা যাচ্ছে সেই একই ঘড়ি তো গায়কের হাতেও দেখা যায়! ছবির সঙ্গে পরীর লেখা বার্তা দুইয়ে দুইয়ে চার করতে সুবিধা করে দিয়েছে। নায়িকা লিখছেন, “প্রেম ফিরে ফিরে আসুক ভালবাসা হয়ে। আবার চলে যাক শরতের সাদা শুভ্র মেঘের মতো। শুধু ওই মেঘ গর্জন না হোক। জীবন চলুক জীবনের মতন।”
‘প্রেমে পড়ব না’ বলেও কি প্রকৃতির অমোঘ ইশারা ফেরাতে পারলেন না পরী? না কি পুরনো ব্যথা মুছে বসন্ত তাঁর জীবন নতুন প্রেমে রাঙিয়ে দিল, আবার?

পরী-শাদীর প্রেমে সাক্ষী থাকুক আকাশ-বাতাস। ছবি: ফেসবুক।
নায়িকা তাঁর যাবতীয় অনুভূতি উজাড় করেছেন সমাজমাধ্যমে। ফোনে তিনি অধরা। শেখ সাদী অবশ্য সমাজমাধ্যমেও চুপ। একেবারে শুরুতে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘আমি আর অন্য মেয়েদের পছন্দ করি না! আমি পরীর যোগ্য।’’ প্রেমের গুঞ্জনের সেই শুরু। সেই গুঞ্জন থামাতে পরীও সে সময়ে তৎপর হয়েছিলেন। তিনিও সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, “ওরে পরী মানে ডানাওয়ালা পরী! পরী মণি না।” এখন সেই নায়িকাই বাড়িতে শেখ সাদীর মায়ের পাঠানো পিঠের ছবি দেন। গায়কের গান নিজের সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন। গায়কও ও পার বাংলার একাধিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আমরা ভাল বন্ধু। দুই বাড়িতে যাতায়াত আছে। আগামী দিনে একসঙ্গে অনেক কাজ করছি। খামোকা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
সব দেখেশুনে নিন্দকদের দাবি, জল ছাড়া মাছ যেমন বাঁচে না, প্রেম ছাড়া পরী-ও তেমনই!