অঙ্কুশ হাজরা। ছবি: সংগৃহীত।
নতুন করে আলোচনায় ফিরে এল ‘মির্জা’। গত বছর এই ছবির মাধ্যমেই প্রযোজক হিসাবে নিজের নতুন পথ চলার ঘোষণা করেছিলেন অঙ্কুশ। ছবির টিজ়ারে অঙ্কুশের অ্যাকশন হিরো অবতার দেখার পর থেকেই অনুরাগীদের চর্চার কেন্দ্রে ছবিটি। কিন্তু ছবিটি যৌথ ভাবে প্রযোজনা করতে যে সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন, সেই সংস্থার সঙ্গে গত বছরেই যাবতীয় যোগাযোগ ছিন্ন করেন অভিনেতা। সিদ্ধান্ত নেন, তিনি একাই প্রযোজনা করবেন। তখন সমাজমাধ্যমে অঙ্কুশের পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে লেখা হয়েছিল, ‘‘নেক্সজেন ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে কিছু অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্যের কারণে অঙ্কুশ হাজরা মোশন পিকচার্স তাদের সঙ্গে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভবিষ্যতে কোনও ভাবে একত্রিত হবেন না। মির্জার কাজ আপাতত স্থগিত থাকবে।”
কিন্তু এখন নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে। অঙ্কুশের অভিযোগ, টলিপাড়ার বিভিন্ন মহলে ‘মির্জা’ নিয়ে এবং তাঁর নাম নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। শুক্রবার নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি পোস্ট করেন অঙ্কুশ। সেখানে এক জায়গায় লেখা হয়েছে, ‘‘‘মির্জা’ সিনেমাটির কাহিনি এবং নাম আইনত ভাবে অঙ্কুশ হাজরা মোশন পিকচার্স-এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করা আছে।’’ এরই সঙ্গে দর্শককে অনুরোধ করা হয়েছে, এই ছবিকে কেন্দ্র করে কোনও মিথ্যা তথ্য বা ভুল ধারণাকে যেন বিশ্বাস না করেন।
শোনা যাচ্ছে, ‘মির্জা’ নিয়ে টলিপাড়ার কোথাও বলা হচ্ছে ছবিটি নাকি তৈরি হচ্ছে না। আবার ছোট পর্দার কয়েক জন অভিনেতার কাছেও নাকি এ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অঙ্কুশের সঙ্গে যোগাযাগ করা হয়। অঙ্কুশ বললেন, ‘‘মানুষের স্বপ্ন নিয়ে খেলা হচ্ছে! এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যাঁরা এটা করছেন তাঁরা কি বুঝতে পারছেন না যে, ছবির যাবতীয় স্বত্ব আমার কাছে রয়েছে। তাঁরা চাইলেও ছবিটা তৈরি করতে পারবেন না।’’
অঙ্কুশের থেকেই জানা গেল এমন তথ্যও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, তিনি নাকি ছবিটা করছেন না। তাই অঙ্কুশের পরিবর্তে নতুন কাউকে সুযোগ দেবেন নির্মাতারা! এমনকি, ছবির পরিচালক সুমিত সাহিলের কাছেও নাকি এই মর্মে ফোন গিয়েছে যে, ‘মির্জা’র অর্ধেক শুটিং শেষ হয়ে গিয়েছে। ছবির বাকি অংশের শুটিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পরিচালককে। অঙ্কুশের কথায়, ‘‘কাউকে এ রকমও বলা হয়েছে যে, ছবির শুটিংও নাকি অর্ধেক শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ অভিনেতা জানালেন, যে সব তরুণ অভিনেতার কাছে প্রস্তাব গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নাকি অঙ্কুশের কাছে ফোন করে দুঃখ করেছেন। অঙ্কুশ বললেন, ‘‘আমি নিজে মফস্সল শহর থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। নতুনদের বলা হচ্ছে ‘হিরো বানিয়ে দেব!’ তার পর আর কেউ ফোন তুলছেন না। মানুষের স্বপ্নভঙ্গকে সমর্থন করি না!’’
কিন্তু প্রতীক্ষিত এই ছবি এই ঠিক কী পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে? জানা গেল, জোরকদমে প্রি প্রোডাকশনের কাজ চলছে। কাস্টিং আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মতোই অঙ্কুশ এগোচ্ছেন। অভিনেতা বললেন, ‘‘প্রযোজনায় আমিও নতুন। তাই আটঘাট বেঁধেই নামতে চাই। লোকে যেন এটা না বলতে পারেন যে, আমার সঙ্গে তাঁরা আর কাজ করবেন না। সময় নিচ্ছি মানে কিন্তু এই নয় যে ছবিটা হচ্ছে না!’’
অঙ্কুশ কিন্তু কারও নাম নিয়ে অভিযোগ করতে চাইচেন না। তবে টলিপাড়ার একটি সূত্রের দাবি, ‘মির্জা’ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে অঙ্কুশের আগের সহ-প্রযোজনা সংস্থা ‘নেক্সজেন ভেঞ্চার্স’। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত তাঁদের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy