Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Entertainment News

‘কষ্ট না করলে কেষ্ট মিলবে কী করে?’

অভিনেত্রী লেখা চট্টোপাধ্যায় আগে অডিও ভিজুয়াল মিডিয়ামে কোনও কাজ করেননি। কিন্তু তাঁর শেখার আগ্রহ নজর কাড়ে। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল, লাইট পজিশন, সহ-অভিনেতাদের অবস্থান, মুভমেন্ট বুঝে অভিনয় করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।

‘বিজয়িনী’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র কেকার গল্প একটু আলাদা।

‘বিজয়িনী’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র কেকার গল্প একটু আলাদা।

মৌসুমি বিলকিস
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:০০
Share: Save:

নতুন ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা নির্বাচনের জন্য প্রায়শই নতুন মুখের খোঁজ চলে। অনেক অডিশন, লুক টেস্টের পর নির্বাচিত হন মুখ্য চরিত্ররা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাঁরা বিজ্ঞাপনের কাজ করেছেন বা অন্যান্য ধারাবাহিকে অপ্রধান চরিত্র করেছেন বা জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। ‘বিজয়িনী’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র কেকার গল্প একটু আলাদা।

এই চরিত্রের অভিনেত্রী লেখা চট্টোপাধ্যায় আগে অডিও ভিজুয়াল মিডিয়ামে কোনও কাজ করেননি। কিন্তু তাঁর শেখার আগ্রহ নজর কাড়ে। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল, লাইট পজিশন, সহ-অভিনেতাদের অবস্থান, মুভমেন্ট বুঝে অভিনয় করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।‘বিজয়িনী’-র পুরো টিম সবসময় তাঁর পাশে রয়েছে। সহ অভিনেতারা এবং পরিচালক তাঁকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন অভিনয়ের খুঁটিনাটি। তিনিও মন দিয়ে বুঝে নিয়ে অভিনয় করছেন।

‘বিজয়িনী’ শুটিং ইউনিটের এক সদস্যের কথায়, ‘‘ফ্রেমের কোথায় দাঁড়ালে সহ অভিনেতাদের আলো না কেটে নিজে ঠিকমতো আলো নেওয়া যাবে, ফ্রেম আউট হয়ে কোথায় দাঁড়াতে হবে, কোনদিকে তাকিয়ে সংলাপ বলতে হবে, ক্লোজ ফ্রেম হলে কতটা নড়াচড়া করতে পারবে... শুটিংয়ের প্রথম থেকেই লেখাকে সব ধরে ধরে শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন অনেকটা বুঝে গিয়েছে। প্রায় ভুল করে না বললেই চলে। যে ফ্রেমটা আমরা ক্যামেরায় দেখি তার বাইরে লাইট, কাটার স্ট্যাণ্ড, গেট ওয়ে, সুইচ বোর্ড, কেবল তার থাকে। আবার লাইটের সামনে দাঁড়ালে অভিনেতাদের লাইট কেটে যায়। যে কোনও শুটিং ইউনিটে কাজ করতে আসা সদস্যকে সেগুলো বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে হাঁটতে শিখতে হয়। লেখাও শিখে গেছে শুটিং ফ্লোরে কী ভাবে হাঁটতে হয়, দাঁড়াতে হয়।’’

নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যেতে চান লেখা চট্টোপাধ্যায়

আর একজন সদস্যের উপলব্ধি, ‘‘যে কোনও বিষয়ে শেখার কোনও শেষ নেই। নতুন কেউ এসেই সব কিছু শিখে যাবে সেটা তো হতে পারে না। অভিনয় এমন একটা বিষয় যা চট করে শেখা যায় না। সারা জীবন ধরেই শিখতে হয় বোধহয়। তাই, কেউ যদি মনে করেন লেখা দারুণ অভিনয় করবে, সেটা বোধহয় আশা করা উচিত নয়। চেষ্টা করছে ও। কিন্তু ডায়ালগ থ্রোয়িং-এ আর একটু মনোযোগ দিলে লেখা আরও ভাল পারফর্ম করবে বলে মনে হয়।’’

আরও পড়ুন: আমি ভালবেসেছিলাম, কিন্তু সম্পর্কগুলো ব্যর্থ ছিল, বিস্ফোরক স্বস্তিকা

আরও পড়ুন: টিভিতে আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘গুড়িয়া যেখানে গুড্ডু সেখানে’

জীবনের প্রথম অভিনয়, তাও আবার মুখ্য চরিত্রে। বিষয়টাই লেখা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নতুন। কিন্তু তিনি সারাক্ষণ মিষ্টি হেসে বুঝিয়ে দিচ্ছেন এই নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যেতে চান। সেই অসাধারণ হাসি নিয়ে‘বিজয়িনী’র মতোই তিনি বললেন, ‘‘এটা আমার জীবনে একটা বড় ব্রেক। কষ্ট তো করতেই হবে। না হলে কেষ্ট মিলবে কী করে?’’

(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবরআমাদের বিনোদন বিভাগে। )

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE