২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল সফর। চলতি বছরেও ধারা বজায় রেখে হচ্ছে ‘পূর্ব পশ্চিম নাট্য উৎসব’। প্রথম বছর থেকেই নাট্যজগতের নামী ব্যক্তিরা যোগ দিয়েছেন এই উৎসবে। চলতি বছরে ৬ মার্চ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত অ্যাকাডেমি অফ্ ফাইন আর্ট্স-এ চলবে এই নাট্যোৎসব। একগুচ্ছ নাটক এবং গানের সম্ভার নিয়ে এই বারও হাজির ‘পূর্ব পশ্চিম’।
নাট্যব্যক্তিত্ব সৌমিত্র মিত্র বলেন, “২০০৯ সালে আমরা ‘অগ্নিজল’ নাটকটি করেছিলাম। সেই বছর উপস্থিত ছিলেন বাংলা নাট্যের প্রথিতযশা ব্যক্তিরা, ছিলেন ভারতীয় নাট্যজগতের তারকা গিরিশ করনাড, অনুরাধা কপূর, তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী-সহ অনেকে। বিভিন্ন বছরে এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন শাবানা আজ়মি, শর্মিলা ঠাকুর, সীমা বিশ্বাস-সহ আরও অনেকে।”
প্রতি বছরই প্রয়াত অভিনেতা রমাপ্রসাদ বণিকের নামে একটি পুরস্কার দেওয়া হয় নাট্যোৎসবে। এই বার সেই পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেত্রী সুরঞ্জনা দাশগুপ্ত। চার দিনের উৎসবে মঞ্চস্থ হবে মোট ১১টি নাটক। প্রথম দিনই ‘স্ত্রীর পত্র’ নাটকে রয়েছে সীমা বিশ্বাসের একক অভিনয়। দেবশঙ্কর হালদার ও মানসী সিংহ অভিনীত দু’টি নাটক রয়েছে ৭ মার্চ, নির্দেশনা দিব্যেন্দু পালের। ৮ মার্চ ‘পূর্ব পশ্চিম’-এর পরিচালনায় রয়েছে নাটক ‘এক মঞ্চ এক জীবন’। এই নাটকে গিরিশচন্দ্র ঘোষের ভূমিকাতেও দেবশঙ্কর রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া নিধুবাবুর জীবন নিয়েও একটি নাটক রয়েছে— ‘শ্রী ও নিধুবাবু কথা’। শেষ দিনে মঞ্চস্থ হবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে ‘জোছনাকুমারী’। বিধায়ক ভট্টাচার্যের নাটক ‘সরীসৃপ’ও মঞ্চস্থ হবে। মনমোহন থিয়েটারকে ঘিরে এই নাটক তৈরি হয়েছিল। সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ-এর বহর বৃদ্ধির জন্য ভাঙা পড়েছিল ‘মনমোহন থিয়েটার’। সেই ঘটনার ১০০ বছর পূর্ণ হচ্ছে এ বছর। তাই এই নাটক এ বারের উৎসবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।