ছবি: সংগৃহীত।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে, এবং তা করেছে তাঁর বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি। আজ এই দাবি করেছেন সুশান্তের বাবার আইনজীবী বিকাশ সিংহ। বুধবার একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিকাশ বলেন, ‘‘সিদ্ধার্থ খুবই ধূর্ত এবং বুদ্ধিমান এক অপরাধী।’’
নিজের এই দাবির পক্ষে একাধিক ‘যুক্তি’ও দিয়েছেন বিকাশ। এ দিন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সুশান্তের মৃতদেহের ছবি আমি দেখেছি। তাকে যে গলায় বেল্টের ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছিল, এ বিষয়ে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই। কারণ যে কাপড় সুশান্তের গলায় জড়ানো ছিল, তার থেকে গলায় ওই রকম গভীর ক্ষতচিহ্ন হতে পারে না।’’ বিকাশের দাবি, ‘‘এই কাজ করেছে সিদ্ধার্থই। একমাত্র সে-ই ঘটনার সময়ে সুশান্তের ফ্ল্যাটে ছিল।’’ অভিনেতার মৃত্যুর সময়ে তিনি যে ফ্ল্যাটের অন্য ঘরে ছিলেন, তা পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে জানিয়েছিলেন সিদ্ধার্থও।
আইনজীবী বিকাশের আরও দাবি, ‘‘সুশান্তের মৃত্যুর পরে প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করছিলেন সিদ্ধার্থ। নিয়মিত তাঁদের খোঁজ-খবরও নিচ্ছিলেন। কিন্তু সুশান্তের বাবা কে কে সিংহ পটনায় এফআইআর দায়ের করার পরেই সিদ্ধার্থের হাবভাব পাল্টে যায়। তখন থেকেই সে রিয়াকে সাহায্য করা শুরু করে।’’ কে কে সিংহ অবশ্য তাঁর এফআইআরে সিদ্ধার্থের নামে কোনও অভিযোগ আনেননি।
গতকাল শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত সুশান্তের বাবার ‘দ্বিতীয় বিবাহ’ নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার পরে এ দিন সুশান্তের পরিবারের তরফে ন’পাতার একটি দীর্ঘ চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে। হিন্দিতে লেখা এই চিঠিটিতে বলা হয়েছে, কী ভাবে সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা সুশান্তের সঙ্গে কখনওই তাঁর পরিবারের শিকড় ছিন্ন হয়নি। সুশান্তের এক আত্মীয় নীরজ কুমার বাবলু এ দিন সঞ্জয় রাউতকে এক আইনি নোটিস পাঠিয়ে দাবি করেছেন, সঞ্জয়কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy