ছবি: সুপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়
শেষ বিকেলে পৌঁছলাম দক্ষিণ কলকাতার এক রেস্তরাঁয়। আবছায়া সিঁড়ি ধরে উঠতে উঠতেই কানে আসছে ‘‘বিরিয়ানি কই? বিরিয়ানি আসছে না তো?’’ সামনে গিয়ে দেখি লাল টুকটুকে জামা পরে তিড়িংবিড়িং লাফাচ্ছে এক খুদে। ইনিই হলেন ‘গুগলি’ ছবির গুগলি। ক্যালকাটা পাবলিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র সৌম্যদীপ্ত সাহার প্রিয় খাবার মটন বিরিয়ানি আর দই চিকেন। দুপুরবেলা পিৎজ়া খেলেও মোগলাই রেস্তরাঁয় ঢুকেই বিরিয়ানির গন্ধে তার আবার খিদে পেয়ে গিয়েছে। ‘‘মায়ের হাতের সব রান্নাই আমার প্রিয়। আর আমার মামির হাতের ডাল দারুণ। এক দিন খেয়ো, বুঝবে,’’ বলেই লাফাতে লাফাতে আবার চলে গেল সে বিরিয়ানির খোঁজ নিতে।
কোনওক্রমে তাকে টেনে বসানো হল সাক্ষাৎকারের জন্য। কথা বলায় মন নেই। সে নাচবে আর তার দাবি, প্রশ্নকর্তাকে ভিডিয়ো করতে হবে। তার সঙ্গে একটা ছবি তুলে গল্প শুরু হল। দস্যি ছেলের পছন্দের বিষয় অঙ্ক। বাড়িতে ছোট ছোট ভাইবোনদের গল্প বলতেও তার উৎসাহের শেষ নেই। তার চেয়েও যে কেউ ছোট আছে আর তাদের উপরে যে দাদাগিরি করা যায়, তা নিয়ে সে ভারী খুশি।
কৌতূহল বাড়ছে, এই ছটফটে বাচ্চা গোটা ছবির শুটিং করে ফেলল কী ভাবে? মুখের কথা কেড়ে নিল সে, ‘‘আমার এটা প্রথম অভিনয় নাকি? এর আগে কত ধারাবাহিক করেছি। ‘জামাই রাজা’, ‘রূপকথা’, ‘রেশম ঝাঁপি’... তার পরে এই ছবি। আর শুটিংয়ে সোহম আঙ্কল তো আমার ‘জিনা মুশকিল কর দিয়া।’ আমার সঙ্গে মারপিট করত।’’
অবাক হয়ে তাকিয়ে... জিজ্ঞেস করলাম আর শ্রাবন্তী কী করতেন? মুখটা নিমেষে বদলে গেল তার। হাসি হাসি মুখে উত্তর দিল, ‘‘মুঝে জিনে কা রাস্তা দিখা দিয়া।’’ এদিকে বলিউডের জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়ও তার প্রিয়। জ্যাকলিনের নাচ দেখে সে মুগ্ধ। টাইগার শ্রফের মার্শাল আর্টও পছন্দ। সে রকম অ্যাকশন করতে চায় সে নিজেও। টিভিতে ডব্লিউ ডব্লিউ এ দেখতেও ভালবাসে।
আর পছন্দ বিয়ে। ছ’বছরের এই একরত্তির ইচ্ছেও অভিনব। ‘‘আমার খুব বিয়ে করার ইচ্ছে। নতুন বৌ আমার খুব ভাল লাগে। আর যদি জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়ের মতো বৌ হয়, দু’জনে মিলে নাচব,’’ বলেই সে উঠে নাচতে শুরু করে দিল।
সে নাচ থামানোর সাধ্যি কার? অতঃপর শেষ হল সাক্ষাৎকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy