Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
smita patil

ব্যক্তিগত জীবনের নিঃসঙ্গতাই কি রাজ বব্বরের কাছাকাছি এনেছিল প্রতিভাময়ী স্মিতা পাতিলকে!

তাঁর বোন মান্য পাতিল পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নিজের পরিসরে স্মিতা ছিলেন নিঃসঙ্গ। রাজ বব্বরের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করতে পারেননি। আবার, রাজ-নাদিরার সংসার ভাঙার জন্য অপরাধবোধও কষ্ট পেতেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:১৭
Share: Save:
০১ ১৪
শুরু করেছিলেন দূরদর্শনের সংবাদপাঠিকা হয়ে। তারপর অভিনয়ে। মাত্র এক দশকের কেরিয়ার। স্বীকৃতিস্বরূপ এসেছিল পদ্মশ্রী, দু’টি জাতীয় পুরস্কার এবং ফিল্মফেয়ার । অভিনয় ও ব্যক্তিত্বে ছিল আলাদা ঘরানা। তিনি স্মিতা পাতিল।

শুরু করেছিলেন দূরদর্শনের সংবাদপাঠিকা হয়ে। তারপর অভিনয়ে। মাত্র এক দশকের কেরিয়ার। স্বীকৃতিস্বরূপ এসেছিল পদ্মশ্রী, দু’টি জাতীয় পুরস্কার এবং ফিল্মফেয়ার । অভিনয় ও ব্যক্তিত্বে ছিল আলাদা ঘরানা। তিনি স্মিতা পাতিল।

০২ ১৪
জন্ম পুণায়। ১৯৫৫ সালের ১৭ অক্টোবর। বাবা শিবাজিরাও গিরধর পাতিল রাজনীতিক। মা বিদ্যাতাই পাতিল ছিলেন সমাজসেবী। দু’জনের ব্যক্তিত্বের প্রভাব পড়েছিল স্মিতার বেড়ে ওঠায় ও মানসিকতায়।

জন্ম পুণায়। ১৯৫৫ সালের ১৭ অক্টোবর। বাবা শিবাজিরাও গিরধর পাতিল রাজনীতিক। মা বিদ্যাতাই পাতিল ছিলেন সমাজসেবী। দু’জনের ব্যক্তিত্বের প্রভাব পড়েছিল স্মিতার বেড়ে ওঠায় ও মানসিকতায়।

০৩ ১৪
পুণায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-এর প্রাক্তনী স্মিতা সাতের দশকে কেরিয়ার শুরু করেন মুম্বই দূরদর্শনের সংবাদপাঠিকা হিসেবে।

পুণায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-এর প্রাক্তনী স্মিতা সাতের দশকে কেরিয়ার শুরু করেন মুম্বই দূরদর্শনের সংবাদপাঠিকা হিসেবে।

০৪ ১৪
অভিনেত্রী স্মিতা ছিলেন শ্যাম বেনেগালের আবিষ্কার। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বরাবর সরব হয়েছেন নারীদের সমস্যা ও অধিকার নিয়ে। তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রভাব পূর্ণমাত্রায় পড়ত অভিনয়েও। তাঁর অভিনীত ছবিগুলি ছিল প্রথাগত নায়কপ্রধান ছবির বিপরীত মেরুর।

অভিনেত্রী স্মিতা ছিলেন শ্যাম বেনেগালের আবিষ্কার। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বরাবর সরব হয়েছেন নারীদের সমস্যা ও অধিকার নিয়ে। তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রভাব পূর্ণমাত্রায় পড়ত অভিনয়েও। তাঁর অভিনীত ছবিগুলি ছিল প্রথাগত নায়কপ্রধান ছবির বিপরীত মেরুর।

০৫ ১৪
মরাঠি ও হিন্দি ছবিতে নিজের সময়ে স্মিতা ছিলেন বলিষ্ঠ অভিনেত্রী। তাঁর প্রথম ছবি মুক্তি ‘মেরে সাথ চল’ মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। এর পরের বছর শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ‘নিশান্ত’। এরপর ‘চরণদাস চোর’, ‘মন্থন’, ‘ভূমিকা’—স্মিতার অভিনয় এবং শ্যাম বেনেগালের পরিচালনার যুগলবন্দিতে নতুন অধ্যায় বলিউডে।

মরাঠি ও হিন্দি ছবিতে নিজের সময়ে স্মিতা ছিলেন বলিষ্ঠ অভিনেত্রী। তাঁর প্রথম ছবি মুক্তি ‘মেরে সাথ চল’ মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। এর পরের বছর শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ‘নিশান্ত’। এরপর ‘চরণদাস চোর’, ‘মন্থন’, ‘ভূমিকা’—স্মিতার অভিনয় এবং শ্যাম বেনেগালের পরিচালনার যুগলবন্দিতে নতুন অধ্যায় বলিউডে।

০৬ ১৪
সেই অধ্যায় দীর্ঘ হয় অন্যান্য যশস্বী পরিচালকের নির্দেশনায়। স্মিতার নামের পাশে একে একে যোগ হয় ‘আক্রোশ’, ‘চক্র’, ‘সদগতি’, ‘অর্থ’, ‘দেবশিশু’, ‘চিদম্বরম’, ‘গুলামি’, ‘বাজার’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘মান্ডি’, ‘অর্ধসত্য’ ‘মির্চ মশালা’–র মতো মাইলফলক ছবি। সমান্তরাল ছবির পাশাপাশি বাণিজ্যিক ছবিতেও স্মিতা ছিলেন সমান সাবলীল।

সেই অধ্যায় দীর্ঘ হয় অন্যান্য যশস্বী পরিচালকের নির্দেশনায়। স্মিতার নামের পাশে একে একে যোগ হয় ‘আক্রোশ’, ‘চক্র’, ‘সদগতি’, ‘অর্থ’, ‘দেবশিশু’, ‘চিদম্বরম’, ‘গুলামি’, ‘বাজার’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘মান্ডি’, ‘অর্ধসত্য’ ‘মির্চ মশালা’–র মতো মাইলফলক ছবি। সমান্তরাল ছবির পাশাপাশি বাণিজ্যিক ছবিতেও স্মিতা ছিলেন সমান সাবলীল।

০৭ ১৪
‘চক্র’ ছবির জন্য মুম্বইয়ের বস্তিতে গিয়ে সেখানকার জীবনযাত্রা লক্ষ করতেন স্মিতা। এই ছবির জন্য তিনি দ্বিতীয় বার জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন ১৯৮০ সালে। প্রথম জাতীয় পুরস্কার ১৯৭৭-এ। ‘ভূমিকা’ ছবির জন্য। প্রথম জাতীয় পুরস্কারের অর্থ স্মিতা দান করেছিলেন সমাজসেবামূলক কাজে।

‘চক্র’ ছবির জন্য মুম্বইয়ের বস্তিতে গিয়ে সেখানকার জীবনযাত্রা লক্ষ করতেন স্মিতা। এই ছবির জন্য তিনি দ্বিতীয় বার জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন ১৯৮০ সালে। প্রথম জাতীয় পুরস্কার ১৯৭৭-এ। ‘ভূমিকা’ ছবির জন্য। প্রথম জাতীয় পুরস্কারের অর্থ স্মিতা দান করেছিলেন সমাজসেবামূলক কাজে।

০৮ ১৪
‘চক্র’ ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও লাভ করেন। এছাড়া আরও সাতবার তিনি মনোনীত হয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য। ১৯৮৫ সালে ভূষিত হন ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে।

‘চক্র’ ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও লাভ করেন। এছাড়া আরও সাতবার তিনি মনোনীত হয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য। ১৯৮৫ সালে ভূষিত হন ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে।

০৯ ১৪
অভিনয়ের মতো ব্যক্তিজীবনেও স্মিতা ছিলেন স্পষ্টচেতা। লুকিয়ে রাখেননি বিবাহিত রাজ বব্বরের সঙ্গে সম্পর্ক। এই সম্পর্কের জন্য প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির মুখরোচক আলোচনা।

অভিনয়ের মতো ব্যক্তিজীবনেও স্মিতা ছিলেন স্পষ্টচেতা। লুকিয়ে রাখেননি বিবাহিত রাজ বব্বরের সঙ্গে সম্পর্ক। এই সম্পর্কের জন্য প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির মুখরোচক আলোচনা।

১০ ১৪
তাঁর বোন মান্য পাতিল পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নিজের পরিসরে স্মিতা ছিলেন নিঃসঙ্গ। রাজ বব্বরের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করতে পারেননি। আবার, রাজ-নাদিরার সংসার ভাঙার জন্য অপরাধবোধও কষ্ট পেতেন।

তাঁর বোন মান্য পাতিল পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নিজের পরিসরে স্মিতা ছিলেন নিঃসঙ্গ। রাজ বব্বরের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করতে পারেননি। আবার, রাজ-নাদিরার সংসার ভাঙার জন্য অপরাধবোধও কষ্ট পেতেন।

১১ ১৪
ঘনিষ্ঠ মহলে শোনা যায়, স্মিতা মা হতে চেয়েছিলেন তাড়াতাড়ি। রাজ-স্মিতার একমাত্র সন্তান প্রতীকের জন্ম ১৯৮৬ সালের ২৮ নভেম্বর। এরপর জটিল হয়ে ওঠে স্মিতার শারীরিক অবস্থা। আর সুস্থ হতে পারেননি। দু’ সপ্তাহের সদ্যোজাত পুত্রকে রেখে চলে যান স্মিতা। ১৯৮৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর। মাত্র ৩১ বছর বয়সে।

ঘনিষ্ঠ মহলে শোনা যায়, স্মিতা মা হতে চেয়েছিলেন তাড়াতাড়ি। রাজ-স্মিতার একমাত্র সন্তান প্রতীকের জন্ম ১৯৮৬ সালের ২৮ নভেম্বর। এরপর জটিল হয়ে ওঠে স্মিতার শারীরিক অবস্থা। আর সুস্থ হতে পারেননি। দু’ সপ্তাহের সদ্যোজাত পুত্রকে রেখে চলে যান স্মিতা। ১৯৮৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর। মাত্র ৩১ বছর বয়সে।

১২ ১৪
স্মিতার মৃত্যুর পরে রাজ আবার ফিরে যান স্ত্রী নাদিরা ও দুই সন্তান আর্য ও জুহির কাছে। স্মিতার সন্তান প্রতীক বড় হন তাঁর দাদু-দিদিমার কাছে। স্মিতার অকালমৃত্যুর পরে দু’ বছর ধরে মুক্তি পেয়েছিল স্মিতা অভিনীত প্রায় এক ডজন ছবি।

স্মিতার মৃত্যুর পরে রাজ আবার ফিরে যান স্ত্রী নাদিরা ও দুই সন্তান আর্য ও জুহির কাছে। স্মিতার সন্তান প্রতীক বড় হন তাঁর দাদু-দিদিমার কাছে। স্মিতার অকালমৃত্যুর পরে দু’ বছর ধরে মুক্তি পেয়েছিল স্মিতা অভিনীত প্রায় এক ডজন ছবি।

১৩ ১৪
স্মিতা ও শাবানা আজমি দু’জনে কাজ করেছেন বেশ কিছু ছবিতে। কিন্তু একই ঘরানার এই দুই কুশীলবের সম্পর্ক ছিল শীতল। কোনওদিন বন্ধু হতে পারেননি। সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন শাবানা নিজেই। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও দু’জনেই একে অপরের কাজের প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল।

স্মিতা ও শাবানা আজমি দু’জনে কাজ করেছেন বেশ কিছু ছবিতে। কিন্তু একই ঘরানার এই দুই কুশীলবের সম্পর্ক ছিল শীতল। কোনওদিন বন্ধু হতে পারেননি। সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন শাবানা নিজেই। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও দু’জনেই একে অপরের কাজের প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল।

১৪ ১৪
অভিনয়ের পাশাপাশি স্মিতার শখ ছিল ফোটোগ্রাফি। ভালবাসতেন গাড়ি চালাতে, ভলিবল খেলতে। একইসঙ্গে ছিলেন ট্র্যাডিশনাল। তাঁর অকালপ্রয়াণের ক্ষতি পূরণ করা যায়নি, নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন চলচ্চিত্র সমালোচকরা।

অভিনয়ের পাশাপাশি স্মিতার শখ ছিল ফোটোগ্রাফি। ভালবাসতেন গাড়ি চালাতে, ভলিবল খেলতে। একইসঙ্গে ছিলেন ট্র্যাডিশনাল। তাঁর অকালপ্রয়াণের ক্ষতি পূরণ করা যায়নি, নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন চলচ্চিত্র সমালোচকরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy