মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতার পাশাপাশি ছিলেন তৃণমূলের একঝাঁক নেতা, সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে নামী প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং গায়ক। ছিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে জুন মালিয়া, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যেরাও রয়েছেন।
বুধবার প্রথম যে যজ্ঞ হবে, সেই যজ্ঞের সময় বিগ্রহকে চার দিক দিয়ে ঘেরা হবে সোনা, রূপা এবং তামার তার দিয়ে। সেই তিন ধাতুর ‘কার’ বাঁধা থাকবে প্রধান পুরোহিতের কোমরে। বিগ্রহের সামনেই মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হবে যজ্ঞকুণ্ড এবং কুম্ভকুণ্ড (ঘটে জল রেখে তৈরি হয় কুম্ভকুণ্ড)। তার পরে শুরু হবে জগন্নাথের বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া। জগন্নাথের সঙ্গে রাধা-কৃষ্ণের মূর্তিতেও প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে।
প্রাণপ্রতিষ্ঠার মাহেন্দ্রক্ষণ বুধবার সকাল ১১টা ১০ থেকে ১১টা ৩০ মিনিট। ওই ২০ মিনিটের মধ্যেই দেবতার সর্বাঙ্গে কুশের স্পর্শ করা হবে। রুদ্ধ দরজার ভিতরে হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। সাধু-সন্ন্যাসীরাই সেই প্রক্রিয়া করবেন। প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরেই জগন্নাথের স্নান এবং বস্ত্র পরিধানের প্রক্রিয়া সারা হবে। তার পরে ৫৬ ভোগ অর্পণ করা হবে জগন্নাথের উদ্দেশে। সেখানে নানা পদের সঙ্গে থাকবে মিষ্টি। গজা, পেঁড়া, রসগোল্লাও জায়গা পাবে। তার পরে দ্বারোদ্ঘাটন পর্ব।
জগন্নাথধাম উদ্বোধনের আগে সাজ সাজ রব সৈকতনগরী দিঘায়। প্রচুর পুণ্যার্থীর ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার। তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে মন্দিরচত্বরে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৮০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে মন্দিরচত্বরে। পাশের জেলাগুলি থেকেও আনা হচ্ছে পুলিশবাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy