প্রত্যেক অভিনেতা তাঁর চরিত্রে যথাযথ। ছবি দেখে এমনই বক্তব্য সত্যজিৎ-পুত্রের। তাঁর আরও দাবি, ছবির প্রয়োজনে বেশ কিছু মুহূর্ত নতুন ভাবে পুননির্মাণ করেছেন অনীক। সেখানেও নিখুঁত তিনি। ‘অপরাজিত’ সন্দীপের পছন্দ হয়েছে।
‘অপরাজিত’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ সন্দীপ রায়।
দর্শকের কাছে সত্যজিৎ রায় এখনও আবেগ। বড় পর্দায় নিজের বাবাকে প্রথম দেখে একই ভাবে আবেগতাড়িত সন্দীপ রায়ও। অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’ তিনি দেখেছেন পরিচালকের সঙ্গে বসে। তার পরেই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, ‘‘যথেষ্ট ভাল অভিনয় করেছেন সবাই। কিছু কিছু দৃশ্য তো গায়ে কাঁটা দেয়!’’ সন্দীপের প্রশংসায় চওড়া হাসি অনীকের মুখে। চোখে-মুখে যুদ্ধজয়ের পরিতৃপ্তি।
শুক্রবার, ১৩ জুন মুক্তি পেয়েছে ‘অপরাজিত’। সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির নেপথ্য কাহিনি ছবির পটভূমিকায়। ছবিতে সত্যজিৎ ‘অপরাজিত রায়’। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসের চরিত্র সর্বজয়া, হরিহর, অপু, দুর্গা, ইন্দির ঠাকুরণ ছাড়াও রয়েছেন পরিচালকের স্ত্রী বিজয়া রায় (সায়নী ঘোষ), শিশু সন্দীপ রায় (শিশু শিল্পী), বন্ধু পরিচালক এবং সমালোচক চিদানন্দ দাশগুপ্ত, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় (নিজের ভূমিকায় নিজেই) প্রমুখ। প্রত্যেক অভিনেতা তাঁর চরিত্রে যথাযথ। ছবি দেখে এমনই বক্তব্য সত্যজিৎ-পুত্রের। তাঁর আরও দাবি, ছবির প্রয়োজনে বেশ কিছু মুহূর্ত নতুন ভাবে পুননির্মাণ করেছেন অনীক। সেখানেও নিখুঁত তিনি। ‘অপরাজিত’ সন্দীপের ভাল লেগেছে।
সত্যজিৎ-পুত্রের অকপট স্বীকারোক্তি, অনীক যথেষ্ট গুরু দায়িত্ব পালন করে উঠলেন। বেশ শক্ত বিষয়, শক্ত ছবি। যথেষ্ট ঝামেলারও। প্রত্যেকটি দৃশ্যকে নিখুঁত ভাবে ক্যামেরাবন্দি করা সহজ কথা নয়। কিন্তু পরিচালক সেটা পেরেছেন। তাই ছবির গতিও অনায়াস। যাঁরা ভাল ছবি দেখতে ভালবাসেন তাঁদের বসিয়ে রাখবে এই ছবি।
সন্দীপের কথায়, ‘‘বেশ কিছু দৃশ্য খুবই শান্ত, পেলব। যা চোখ আর মনকে আরাম দেয়। এই ধরনের দৃশ্য এখনকার ছবিতে প্রায় দেখাই যায় না। কারণ, এখনকার ছবির প্রায় সব দৃশ্যই আবহ সঙ্গীত দিয়ে মোড়া। চলচ্চিত্রের ভাষায় যাকে ‘কার্পেটিং’ বলা হয়।’’ প্রযুক্তি এবং আলোর ব্যবহারের দিক থেকেও যে এই ছবি উদাহরণ হয়ে উঠতে চলেছে সে বিষয়েও নিঃসন্দেহ সন্দীপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy