নীচ থেকে দ্বিতীয় সারির বাঁ দিকে একদম প্রথমে ছোট্ট রানি
আমাদের অনেকেরই বড় হয়ে ওঠার পিছনে শিক্ষকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। ব্যতিক্রম নন রানি মুখোপাধ্যায়ও। এ বার তাঁর আগামী ছবি ‘হিচকী’-তে রানি তেমনই এক শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করবেন, যে তার ছাত্রদের দুর্বলতাকে শক্তিতে বদলে দেয়। আর এই শিক্ষকের চরিত্র একদম নিপুণ ভাবে পরদায় ফুটিয়ে তোলার জন্য রানি নিজের স্কুলের টিচারদের অনুকরণ করেছেন, যাঁরা তাঁর জীবনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।
ফিলগুড ‘হিচকী’র কাহিনি দর্শককেও অনুপ্রাণিত করবে। ছবিতে রানি এক সাধারণ মেয়ে। একজন শিক্ষক। কিন্তু সে সাধারণের মধ্যেও অসাধারণ, কারণ সে পরিস্থিতির কাছে নতি স্বীকার করে না। ঘুরে দাঁড়ায়। মুখে সে যা বলে, কাজেও সেটাই করে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে সেরাটা বের করে আনার চেষ্টা করে। আর এই চরিত্রটাই পরদায় ফুটিয়ে তুলতে রানি যেন ফিরে গিয়েছেন তাঁর শৈশবে, স্কুলের দিনগুলোয়।
এই প্রসঙ্গে রানি জানান, ‘‘আমাদের স্কুলের (মানেকজি কুপার, জুহু) টিচাররা ছিলেন খুবই ইনফর্মাল এবং ফ্রেন্ডলি। আমাদের উপর কখনওই পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত চাপ দিতেন না। স্কুলে সব ধরনের ছাত্র-ছাত্রীই ছিল। আমাদের মধ্যে যেমন কেউ টপার হতো, তেমনই কেউ কেউ আবার মাঝারি মানেরও ছিল। আবার কেউ টেনেটুনে পাশ করত তো, কেউ ডাহা ফেল। তাদের প্রতি কিন্তু টিচাররা মোটেই কঠোর ছিলেন না। শুধু নম্বরের পিছনেই ছুটতাম না। বরং পড়াশোনা করে আমরা মজা পেতাম। নিজের সেই অভিজ্ঞতাটুকু ‘হিচকী’তে আমার চরিত্রের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি।’’
এর সঙ্গে রানি আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, ‘‘স্কুলের পরিবেশ হবে এমন, যেখানে স্টুডেন্টরা উড়তে পারে। ভয় না পেয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারে। বাচ্চারা যখন বড় হবে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই তারা কেরিয়ার তৈরির চাপ, টাকা রোজগার করার মতো দিকগুলো রিয়্যালাইজ করবে। বাচ্চাদের নিজেদেরই বেছে নিতে দিন, অ্যাকাডেমিকস, খেলাধুলো না কি আর্টস, কোন দিকে তাদের বেশি ঝোঁক! এই শিক্ষা আমার স্কুল থেকেই আমি পেয়েছি। আর ‘হিচকী’ ছবির মূল সুরটাও এখানেই।’’
সিদ্ধার্থ পি মলহোত্রার পরিচালনায় এই ছবি মুক্তি পাবে আগামী বছর, ২৩ ফেব্রুয়ারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy