Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

‘মিথ্যের সঙ্গে কাঁহাতক লড়া যায়’, বললেন রাহুল

রাহুল-প্রিয়ঙ্কার পারস্পরিক তিক্ততার জল গড়িয়েছে বহু দূর।  কী বলছেন রাহুল?    রাহুল-প্রিয়ঙ্কার পারস্পরিক তিক্ততার জল গড়িয়েছে বহু দূর।  কী বলছেন রাহুল?   

রাহুল

রাহুল

পারমিতা সাহা
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

প্র: আপনার বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কার অনেক অভিযোগ। এবং তিক্ততার মূলে সহজকে বড় করার ব্যাপারে আপনার অসহযোগিতা...

উ: কী বলব বলুন তো? সহজের দায়িত্ব নেওয়া থেকে শুরু করে যেখানে যতটুকু যা টাকা দেওয়ার, প্রিয়ঙ্কার ফ্ল্যাটের অ্যারেঞ্জমেন্ট... সবই আমি করেছিলাম। তাই এত দিন সব কিছু ঠিক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কারও যদি বেশি টাকার প্রয়োজন হয়, সেটা দেখা আমার দায়িত্ব নয়। আর টাকা না দেওয়ার ব্যাপারটা এক-দু’মাস সহ্য করা যায়, আড়াই বছর ধরে কেউ করে?

প্র: সেপারেশনের সময়ে আপনাদের সম্পর্ক খুব খারাপ পর্যায় ছিল?

উ: আমাদের পথ আলাদা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তিক্ততা ছিল না। ছ’-সাত মাস আগে থেকে হঠাৎই প্রিয়ঙ্কার অদ্ভুত পরিবর্তন হল। ছ’মাস আমাকে সহজের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হল না। ওর একটা নতুন প্রেম হয়েছে না কী হয়েছে জানি না, তার সঙ্গে কথা বলে ওর মনে হয়েছে, নিজের জীবন থেকে এবং সহজের জীবন থেকে আমাকে ছেঁটে ফেলা দরকার। ও মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে। মিথ্যের সঙ্গে কাঁহাতক লড়া যায়!

প্র: কী মিথ্যে বলছেন প্রিয়ঙ্কা?

উ: আমি নাকি ওকে শারীরিক নির্যাতন করতাম। বিয়ের পর থেকে কোনও দিন ও শান্তিতে ছিল না। ওর কেরিয়ারে হস্তক্ষেপ করতাম। নিজের মাথা নিজে ফাটাতাম! এবং ও আমার কথা শুনতও! সত্যিই আমি এর আগে এমন ইম্যাজিনেটিভ পিস অব লিটারেচার পড়িনি! প্রিয়ঙ্কার গায়ে হাত তোলার প্রশ্নই ওঠে না। আর সেটা যদি আমি করেও থাকি, তা হলে সেপারেশনের পরেও এত দিন বন্ধু থাকলাম কী ভাবে?

প্র: আপনি প্রিয়ঙ্কাকে বলেছিলেন, ‘আমার সহজ চাই না।’ এটা রেকর্ডেড।

উ: যখন কেউ কথাগুলো রেকর্ড করছে, তার আগে সেই মানুষটিকে দশটা ফোন করে কোণঠাসা করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনও রেকর্ড থাকবে না। সেই লাস্ট ফোনটাই সকলের সামনে আনা হবে, যেখানে আমি ভেঙে পড়ব এবং বলব, ‘তুমি এত টর্চার কোরো না। আমি আর সহজকে চাই না।’ কিন্তু তার সঙ্গে টাকার কোনও সম্পর্ক নেই। আপনারা যদি রেকর্ডিংটা শোনেন, তা হলে বুঝতে পারবেন, একটা সময়ে ভেঙে পড়েছি চাপের মুখে।

প্র: কী ভাবে চাপ দেওয়া হয়েছিল আপনাকে?

উ: ধরুন, স্বামীর সঙ্গে আপনার ঝামেলা চলছে। তার মধ্যে অফিসে কোনও একটা জিনিস ডেলিভার করতে হবে। সেই সময়ে যদি কুড়িটা ফোন আসতে থাকে, আপনার বাবা-মাকে তুলে অশ্রাব্য কথা থেকে শুরু করে যাবতীয় খারাপ কথা বলে, আপনি আর কাজটা করতে পারবেন না। ডেডলাইন মিস করবেন। আমার সেই অবস্থাই হয়েছিল শুটিংয়ের মধ্যে।

প্র: প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ বিয়ের পরেও আপনি নাকি বহু সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন?

উ: তখন মিডিয়া কী করছিল? একটা অ্যাফেয়ারও কেউ খুঁজে বের করতে পারেনি তো। যে নামটা উঠেছিল, সেটা আমাদের বিচ্ছেদের পর।

প্র: আপনাদের বিবাদে সবচেয়ে ভুক্তভোগী কি সহজ নয়?

উ: অবশ্যই। গত সাত মাস ছেলেটার মুখ দেখিনি। আমার বন্ধু যখন প্রিয়ঙ্কার ফ্ল্যাটে গিয়েছিল, সহজ ওকে বলেছে, ‘তুমি আমার বাবাকে নিয়ে আসবে। আমি দরজা খুলে দেখব, বাবা দাঁড়িয়ে আছে।’ এটা এক জন বাবার পক্ষে শোনা কতটা কষ্টকর!

প্র: সহজের মুখ চেয়ে আপনি কী পদক্ষেপ করবেন বলে ঠিক করেছেন?

উ: জানি না। আমাকে বলা হয়েছে, আগে টাকা, তার পরে ছেলের মুখ।

প্র: আপনি কি টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন?

উ: না বন্ধ করিনি। প্রিয়ঙ্কার ওই টাকায় হচ্ছে না। ও একটা অ্যাবসার্ড দাবি করছে। এক কোটি পঁচিশ লাখ। ছেলের ভবিষ্যতের জন্য আমি অবশ্যই টাকা দিতে রাজি। কিন্তু একটা নতুন সংসারে কন্ট্রিবিউট করতে রাজি নই। আর প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে ছেলের ব্রেনওয়াশ করেছি, এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। একটা ছেলের যদি মায়ের উপর থেকে ভরসা উঠে যায়, ভবিষ্যতের উপর থেকেও তো বিশ্বাস উঠে যাবে। সেটা আমি হতে দেব না।

প্র: আপনারা দু’জনেই এখন মুসৌরিতে অরিন্দম শীলের ছবি ‘ব্যোমকেশ গোত্র’য় কাজ করছেন। মুখোমুখি হলে?

উ: অসুবিধে হয়তো হবে। কিন্তু আমি সেটা প্রফেশনালি ডিল করব।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE