পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছরের শুরু থেকেই একের পর এক ঝড়ঝাপটা সামলাচ্ছেন পরীমণি। প্রথমে স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ। মাঝের সময়টা বেশ অস্থিরতার মধ্যে কেটেছে অভিনেত্রীর। এর মাঝেই ছেলে রাজ্য ও দাদুকে নিয়ে নিজের সংসার গুছিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মাঝে আরও শোক। হারিয়ে ফেললেন দাদুকে। যাঁকে নানুভাই বলেই ডাকতেন পরীমণি। খুব ছোট বয়সেই মা হারান, তার পর বাবাও গত হন। বড় হয়েছেন দাদু শামসুল হক গাজির কাছে। বাবা-মা চলে যাওয়ার পর সারা জীবন দাদুর সঙ্গে কেটেছে অভিনেত্রীর। সেই দাদুর চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। জন্মস্থান ভিটে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় দাদুকে কবর দিয়েছেন অভিনেত্রী। সব কিছুই একা হাতে সামলেছেন তিনি। তবু দাদু কবরের পাশে বসেই দেখলেন তাঁর কাঁধে হাত দিয়ে ভরসা দেওয়ার মানুষটাকে পেয়ে গেলেন অভিনেত্রী
সমাজমাধ্যমের পাতায় দাদুর বিভিন্ন স্মৃতি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পরীমণি।
সম্প্রতি পরীমণি এক শোকাচ্ছন্ন পোস্ট দেন। যেখানে পরীমণি লিখেছেন, ‘‘এর আগে যত বার নানুবাড়ি গিয়েছি, নির্দিষ্ট তারিখেই ঢাকায় ব্যাক করেছি। বাড়ির সবাই দুই-এক দিন বেশি থেকে যেতে বলত কত করে! থাকা হয়নি। এখন মনে হচ্ছে, নানুর কবর ধরে সারা দিন সারা রাত যদি বসে থাকতে পারতাম! কিন্তু পারি না।’’ অভিনেত্রী তাঁর ছেলে পদ্মর সঙ্গে তার নানাভাইয়ের সম্পর্কের স্মৃতি টেনে লেখেন, “আমার পদ্মফুল কেবল নানুকে চিনতে শুরু করছিল। বড় আব্বু বলে ডাকতে শিখেছিল। এখন যদি কেউ ওকে বলে, ‘তোমার বড় আব্বু কই’? অমনি ‘এই যে’ বলে সঙ্গে সঙ্গে আঙুল তুলে নানুর কবরটা দেখিয়ে দেয়! কবরের উপরে চুমু খায়, হাত বুলায়, ফুঁ দেয়। আসার সময় হাত নেড়ে নেড়ে কত বার যে বলল ‘আব্বুটা বাই আব্বুটা বাই’!”
পরীমণির একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দাদুর কবরের পাশে বসে আছেন তিনি। এ সময় তার কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে ছেলে পদ্ম। সেই ছবি প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, ‘‘আমার এক জন কাঁধে হাত রাখার মানুষ আছে। আল্লাহ কিছু নেওয়ার আগে কিছু দিয়েও দেয়!’’ দাদু চলে যাওয়ার পর ছেলে রাজ্যে নিয়েই এখন তাঁর গোটা দুনিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy