বয়স ৭৬ পেরিয়েছে। তার পরেও বার্ধক্য যেন ছুঁতে পারেনি হেমা মালিনীকে। যৌবনের মতোই টানটান ত্বক, বলিরেখাও তেমন দৃশ্যমান নয়। পর্দার তারকাদের জীবনযাপন, ত্বকের যত্নআত্তির ধরন সাধারণ মানুষের চেয়ে আলাদাই হয়। অনেক নিয়মের মধ্যে থাকেন অভিনেতারা। তবে ড্রিম গার্লের ত্বকের ঔজ্জ্বল্য সত্যিই অবিশ্বাস্য। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে হেমা জানিয়েছিলেন, তিনি সারা দিনে প্রচুর জল খান, যোগাসন অভ্যাস করেন, সে কারণেই তাঁর চেহারায় মেদের প্রলেপ পড়েনি ত্বকও জেল্লাদার রয়েছে। কিন্তু তাঁর মেয়ে এষা জানিয়েছেন, জীবনযাপনে সংযম তো বটেই, রূপচর্চাতেও বিশেষ কিছু পদ্ধতি মেনে চলেন হেমা। সেগুলি কী কী?
বাজারচলতি কোনও প্রসাধনী ত্বকে ব্যবহার করেন না হেমা। সব সময় চেষ্টা করেন ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের পরিচর্যা করার। মধু, বেসন, দুধের সর— এমনই কিছু ঘরোয়া উপকরণ থাকে তাঁর রূপচর্চায়।
বেসনের ফেসপ্যাক
এক চা চামচ বেসনের সঙ্গে এ চামচ দই বা এক চামচ দুধ মিশিয়ে তাতে এক চিমটে হলুদ ফেলে প্যাক তৈরি করে নেন হেমা। প্রতি দিন স্নানের আগে এই ফেসপ্যাকই ব্যবহার করেন। এষা জানিয়েছেন, তাঁর মা মুখে সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন না। ঘরোয়া এই প্যাক দিয়েই মুখ পরিষ্কার করেন। এতে তাঁর ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়, ব্রণ-র্যাশের সমস্যাও হয় না কখনওই।
আরও পড়ুন:
গ্লিসারিন-লেবুর ফেসপ্যাক
আরও একটি ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন হেমা, সেটি হল গ্লিসারিন ও লেবুর ফেসপ্যাক। এক চামচের মতো গ্লিসারিনের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেন অভিনেত্রী। প্রতি রাতে শোয়ার আগে এই প্যাকটি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে তার পর ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নেন।
গ্লিসারিন তাঁর ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে আর ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। এই ফেসপ্যাক ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না বলেই জানিয়েছেন এষা।