নেটমাধ্যমেও আপাতত রাজত্ব চালাচ্ছে ‘মিঠাই’।
লকডাউনে সব ধারাবাহিকের শ্যুটিং বন্ধ থাকলেও নাকি ‘মিঠাই’য়ের শ্যুটিং চলবে। কী ভাবে? উত্তর নেই জি বাংলা চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে। এমন কথা তা হলে ছড়াল কে? নেটাগরিকদের যুক্তি, লকডাউনে যদি মিষ্টির দোকান খোলা থাকতে পারে তা হলে ‘মিঠাই’ কেন বন্ধ থাকবে? অর্থাৎ, মিষ্টির দোকানের গল্প নিয়ে তৈরি হওয়ায় এই ধারাবাহিকের শ্যুটিং বন্ধের কোনও নির্দেশ থাকবে না! ‘কাকলি ফার্নিচার’-এর মতো এই মিমও ইতিমধ্যেই যথেষ্ট জনপ্রিয়। মিম বুঝিয়ে দিয়েছে, ছোট পর্দা ছেড়ে নেটমাধ্যমেও আপাতত রাজত্ব চালাচ্ছে ‘মিঠাই’।
রেটিং চার্ট বলছে, অনেক ধারাবাহিকের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়েছে ‘মিঠাই’। অনেকগুলো সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকটি ‘বাংলা সেরা’ এবং ‘সপ্তাহ সেরা’। এর আগে এই ইতিহাস গড়েছিল ‘মোহর’, ‘খড়কুটো’, ‘শ্রীময়ী’। যদিও রেটিং চার্ট অনুযায়ী, সম্প্রচারের কিছু দিনের মধ্যেই ‘মিঠাই’ ছাড়া এই ফলাফল সম্ভবত এক মাত্র দেখিয়েছিল ‘খড়কুটো’। ২ ধারাবাহিকের মিল নিয়েও তাই চর্চা চলছে দর্শক মহলে, সংবাদমাধ্যমে। যদিও ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র ‘মিঠাই’ ওরফে সৌমিতৃষা কুণ্ডু এবং পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানিয়েছিলেন, ‘মিঠাই’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী ‘খড়কুটো’ নয়, ‘মোহর’। তবে এক সময়ের সপ্তাহ সেরা ‘খড়কুটো’-কে টপকে গিয়ে দারুণ খুশি টিম।
নেটমাধ্যম বলছে, ‘মিঠাই’কে নিয়ে তৈরি এই মিম আরও একটি কারণে মন ভাল করে দিয়েছে দর্শকদের। ২০২০-র লকডাউনে ধারাবাহিকের ব্যাঙ্কিং শেষ হতেই দর্শকেরা পুরনো পর্ব দেখতে বাধ্য হয়েছিলেন। যেটা অনেকের কাছেই একঘেয়ে হয়ে উঠেছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর দেখতে রাজি নন তাঁরা।
সত্যি কি এই অসম্ভবও সম্ভব হবে? ধারাবাহিকের ফ্যানপেজ বলছে, ইতিমধ্যেই এমন সম্ভাবনায় সিলমোহর দিয়েছে স্বয়ং ‘মিঠাই’। সামাজিক পাতায় ছড়িয়ে গিয়েছে সৌমিতৃষার বিজ্ঞাপন, ‘জি বাংলার সব প্রিয় শো-এর নতুন পর্ব লকডাউনেও!’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy