রাজ্যে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় বেরিয়েছে সম্প্রতি। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে, শিক্ষক এবং শিক্ষাবন্ধু মিলিয়ে চাকরি বাতিল ২৫ হাজার ৭৩৫ জনের। রাজ্য জুড়ে যখন চাকরি খোয়ানোর হাহাকার তখনই এক শিশুর বক্তব্য, “আমি কখনও ঘুষ নেব না। কারণ, আমি শিক্ষক হব। কিন্তু ঘুষ দিয়ে বা নিয়ে নয়।” একজন শিশুর মুখে এত ভারী ভারী কথা! প্রসঙ্গ উঠতেই পরিচালক সৌরভ পালধির দাবি, “এখন শিশুরাও জানে, রাজ্যে কী ঘটছে। তাদের কাছে শিক্ষক দুর্নীতি নতুন কিছু নয়। এর জের ওদেরও ভুগতে হচ্ছে!”
সাল ২০২০-২০২২। অতিমারিতে দেশ টালমাটাল। রোগ থেকে বাঁচতে সকলে গৃহবন্দি। স্কুল-কলেজ বন্ধ। মিড ডে মিল মিলছে না। তাই পড়াশোনারও আগ্রহ নেই! যাঁরা সমাজদের তথাকথিক নিচু তলার বাসিন্দা, তাঁদের সন্তানেরা শিক্ষা থেকে ফের বঞ্চিত। কারণ, অনলাইনে পড়াশোনার সামর্থ্য তাদের ছিল না। সৌরভের কথায়, তার মধ্যেই কিছু মেধাবী স্বপ্ন দেখত, মন দিয়ে পড়াশোনা করে বড় চাকরি করবে। সংসারের অনটন কমাবে। জাম্প কাট ২০২৫। আবারও শিক্ষাক্ষেত্রে অশান্তি। আবার কি দেখা স্বপ্ন ব্যর্থ হবে? এরই উত্তর খুঁজতে সৌরভের আগামী ছবি ‘অঙ্ক কী কঠিন’।
আরও পড়ুন:
পরিচালকের কথায়, “জীবনের অঙ্ক খুব কষ্ট করে মেলাতে হয়। সেটাই দেখানো হবে ছবিতে। কাকতালীয় ভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে সংলাপ মিলে গিয়েছে। গল্পের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই শিশুশিল্পীর মুখে ভারী কথা শোনা যাচ্ছে। জোর করে মেলানো হচ্ছে না।” নববর্ষে রানা সরকার প্রযোজিত ছবির ট্রেলার মুক্তি পেল দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার অফিসে। গরমের ছুটিতে মুক্তি পাচ্ছে ছবি। প্রচারে বলা হচ্ছে, সন্তানদের নিয়ে মা-বাবার দেখার মতো ছবি। কিন্তু ছোটরা এত ভারী বিষয় বুঝবে? ওদের জন্য রাজনৈতিক ছবি!
এ বার প্রযোজক মুখ খুললেন। রানার কথায়, “নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবে স্বপ্ন দেখতে হয়, সেটা ছবি দেখে ছোটরা শিখবে। বড়রা শিখবেন, ছোটদের স্বপ্নকে কী করে বাস্তব করে তুলতে হয়।” ‘অঙ্ক কি কঠিন’ ইতিমধ্যেই দেশে-বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শকদের থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে। ছবিতে অভিনয় করেছেন পার্নো মিত্র, শঙ্কর দেবনাথ, প্রসূন সোম প্রমুখ। এই ছবি দিয়ে অভিনয়ে পা রাখছেন তিন শিশুশিল্পী ঋদ্ধিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, গীতশ্রী চক্রবর্তী, তপোময় দেব। ছবিমুক্তি ১৬ মে।