‘ময়ূরাক্ষী’র তিন নারী।
সম্পর্কের গল্প। উত্তরাধিকারের গল্প। বাবা-ছেলের গল্প। জানতে গেলে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ডুব দিতে হবে ‘ময়ূরাক্ষী’তে।
গল্প বলবেন পরিচালক অতনু ঘোষ। তিনিই ক্যাপ্টেন। জবরদস্ত প্লেয়ারদের নিয়ে টিম সাজিয়েছেন তিনি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, গার্গী রায়চৌধুরী, ইন্দ্রাণী হালদারের মতো শিল্পীর অভিনয় দেখার সুযোগ রয়েছে। ছবি মুক্তির আগে তিন নারী শেয়ার করলেন তাঁদের ময়ূরাক্ষীর জার্নি।
সুদীপ্তা চক্রবর্তী: ময়ূরাক্ষীতে আমি যে চরিত্রটি করেছি, মল্লিকা- এরকম চরিত্র আমার কেরিয়ারে প্রথম। এখানে আমার প্রফেশনাল কেয়ার গিভারের চরিত্র। একাকী বৃদ্ধের খাওয়া, ঘুমের পাশাপাশি তাঁর মননের দায়িত্বও মেয়েটির। বাংলা ছবিতে এমন প্রফেশন সম্ভবত এই প্রথম। ওই বৃদ্ধের সঙ্গে বন্ধুত্বের বা বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। একটা অধিকার বোধ তৈরি হয়। যখন বৃদ্ধের ছেলে এসে পৌঁছয় তখন সেই অধিকারবোধটা ধাক্কা খায়। আফটার অল সে তো বাইরের লোক। আর এই ছবিটার সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে পুরোটাই রিলেট করতে পেরেছি। কারণ এখানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র সুশোভনের যা অবস্থা আমার বাবা বিপ্লবকেতন চক্রবর্তী সেই স্টেজ কাটিয়ে এসেছেন কয়েক বছর আগে। এখন তাঁর অবস্থা আরও খারাপ। ফলে পুরোটাই খুব কাছ থেকে দেখেছি।
আরও পড়ুন, ‘আমাজন’ নিয়ে জেনারেল নলেজ টেস্ট দিলেন দেব, দেখুন রেজাল্ট
গার্গী রায়চৌধুরী: ময়ূরাক্ষী ধরুন একটা নদীর নাম। নদীর যেমন অনেক বাঁক থাকে যা নিয়ে সে সাগরে পৌঁছয়, তেমনই এই ছবিতে আমার চরিত্র অর্থাত্ পারমিতা হল সেই বাঁক। যা না নিলে ময়ূরাক্ষী সাগরে পৌঁছবে না। মেয়েটি যাঁর উপর ডিপেন্ড করেছে তাকে কি ছেড়ে থাকতে পেরেছে? অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের পরও শান্ত, স্নিগ্ধ, পজেটিভ। স্বল্প পরিসরে এত শেডস্, এত বৈপরীত্য, এত রং…। গার্গীর কোনও এতটা সত্ত্বার সঙ্গে হয়তো এই পারমিতার মিল রয়েছে।
বলিউড-টলিউড-টেলিউডের হিট খবর জানতে চান? সাপ্তাহিক বিনোদন সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ইন্দ্রাণী হালদার: এই ছবিতে আমার চরিত্র সাহানা। খুব পজিটিভ মাইন্ডেড। ওর জীবনে অনেক সমস্যা থাকলেও খুব একটা পাত্তা দেয় না। আর প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় যে চরিত্রটি করেছেন মানে আর্যনীল তাঁর সঙ্গে সাহানার অদ্ভুত একটা সম্পর্ক। মোর দ্যান হাজব্যান্ড-ওয়াইফ। মোর দ্যান গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড। দে ক্যান শেয়ার এনিথিং উইথ ইচ আদার। বলতে পারেন, ক্রাইসিসের সময় সাহানা ওর আশ্রয়ের জায়গা। আর ব্যক্তি জীবনে আমি নিজেও হ্যাপি গো টাইপের। সব সময় পজিটিভ ভাবতেই ভালবাসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy