মাত্র এক বারের ‘লাভ-মেকিং’! তার জন্য যে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে ক্যাটরিনা কইফের— কে জানত! অথচ সেটাই তো হল! আর আদিত্য রয় কপূরেরও ব্যাপারটাতে ছিটে-ফোঁটাও আপত্তি দেখা গেল না। তিনিও ওই ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সমানে পাল্লা দিয়ে গেলেন ক্যাটরিনার সঙ্গে। তা-ও আবার সবার চোখের সামনে!
কী আর করা! পেশার খাতিরে কত কী-ই যে করতে হয় অভিনেতাদের— তা কি আর কারও অজানা! এখন পরিচালক অভিষেক কপূরের যদি মনে হয় ব্যাপারটা মোটে জমছে না, তাহলে বার বার রি-টেক তো হবেই! কিন্তু কথা হল, আদর-দৃশ্যে তো আর এই প্রথম অভিনয় করছেন না ক্যাটরিনা। এই ব্যাপারে সেলুলয়েডে নবিশ নন আদিত্যও। তবে কেন সময় লাগে?
আহা, চার্লস ডিকেন্সের ‘দ্য গ্রেট এক্সপেকটেশন’ বইটা যে এ বার রুপোলি পর্দায় ফ্রেমবন্দি করতে চলেছেন ‘কাই পো চে’-খ্যাত পরিচালক অভিষেক। ছবির নাম দিয়েছেন ‘ফিতুর’। সেই প্রায় মহাকাব্যিক উপন্যাসের রসটা যাতে আদর-দৃশ্যেও থাকে, তার জন্যই তো এত কাঠখড় পোড়ানো! তার ওপর আবার পরিচালকের অন্য একটা দায়বদ্ধতাও আছে। যে দৃশ্য নিয়ে এত কিছু, সেটা তো আদতে ছিল-ই না ডিকেন্সের লেখায়। এ বার সুন্দর করে, সাজিয়ে-গুছিয়ে যদি ব্যাপারটা দেখানো না-হয়, তাহলে সমালোচকেরা কি আর ছেড়ে কথা কইবেন? এর মধ্যেই তো তাঁরা ব্যাপারটাকে ছবি বিক্রির মশলা বলে শুরু করে দিয়েছেন কানাকানি। কাজেই ভাল করে না-করা ছাড়া আর উপায় ছিল না ক্যাটরিনা-আদিত্যর হাতে!
তা, কেমন দৃশ্য ডিকেন্সের লেখায় গুঁজেছেন অভিষেক? ছবিতে তিনি ক্যাটরিনার নাম দিয়েছেন ফিরদৌস। আর আদিত্যর নাম নূর। নূরের মনে ফিরদৌসকে নিয়ে ছিল অনেক কিছু। তবে ফিরদৌসের মনে ছিল ঘেঁচু! এই পর্যন্ত ব্যাপারটা মেনে চলেছে ডিকেন্সকে। তার পর অভিষেক করলেন কী, একটা ফাঁকা ঘরে পাঠিয়ে দিলেন ফিরদৌসকে। সেখানে গিয়ে মেয়ে দেখল, নূর তার একখানা বড়সড় পোর্ট্রেট এঁকে রেখেছে। ব্যস্, আর যায় কোথায়! সেই থেকে মনে দখিনা হাওয়া আর তার পরেই একসঙ্গে বিছানায় যাওয়া!
এ সব যুক্তিতে কিন্তু নিন্দুকদের মন ভিজছে না। তাঁদের দাবির প্যাঁচ ঘ্যাঁচ-ঘ্যাঁচ করে কাটতে চাইছে পুরো ব্যাপারটাই। সাফ সাফ বলছেন তাঁরা— কই, এর আগে শ্রীনগরে এক সেতুর ওপরে ঠোঁটঠাসা চুমু খেতে তো তেমন সময় নেননি নায়ক-নায়িকা! তখনই তো আড় ভেঙে যাওয়ার কথা। ওই চুমুর পরেই তবে এত সময় কেন লাগে?
সে কথা মালুম হবে ছবি মুক্তি পেলে। তখনই মালুম হবে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পরিচালকের নির্দেশ মতো কী এমন করলেন ক্যাটরিনা-আদিত্য।
আর যদি অপেক্ষা করতে মন না চায়? বন্ধুদের দেখুন জিজ্ঞেস করে, তাঁদের কাছে আছে কি না দৃশ্যটার ফুটেজ! ওই বারো ঘণ্টারও বেশি ‘লাভ-মেকিং’ যে এর মধ্যেই বারোয়ারি হয়ে ছড়িয়ে গিয়েছে ইন্টারনেটে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy