লোপার জন্য লেখা গান শুভমিতার গলায়, জয়ের দোষ?
২০ বছরের সংসার। প্রেম, স্নেহ, ভাললাগার সঙ্গে সমতা আনতে একটু রাগ অভিমান না হলে চলে? তারকা দম্পতির সংসারে যে সেই সমতায় চ্যুতি ঘটে না, তার প্রমাণ মিলল আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভে। লোপামুদ্রা মিত্র এবং জয় সরকার। সুরেলা জুটি তাঁদের দাম্পত্য এবং সংসারের কিছু অজানা দিক তুলে ধরলেন শনিবারের আড্ডায়।
একই পেশার দুই মানুষের সংসার। কোনও দিন পেশার কারণে মান অভিমান হয়নি? লোপামুদ্রাকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই হয়েছে। আর সেই গল্পটি আমি নানা জায়গায় বলেছি। জয় একটি গানে সুর দিয়েছিল। খুবই ভাল গান। আমি ভেবেছিলাম গাইব। কথা দিয়েও কথা রাখেনি জয়। অভিমান হয়েছে। দেড় মাস তার জন্য কথা বলিনি ওর সঙ্গে। পরে আফশোসও হয়নি। বেশ করেছি কথা না বলে।’’ কী সেই ঘটনা?
শুভমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া গান ‘দেখেছ কী তাকে’ লেখা হয়েছিল লোপামুদ্রার জন্য। স্থির হয়েছিল জয়ের সুর দেওয়া সেই গানে সুর তুলবেন জয়-ঘরনীই। সারা দিন সেই গান গেয়ে গেয়ে গলা সাধতেন লোপামুদ্রা। তাঁর মনে পড়ে, শুভমিতাও তাঁদের বাড়িতে এসে দেখেছিলেন লোপামুদ্রাকে সেই সুরে গলা সাধতে৷ শুভমিতা বলেছিলেন, ‘‘লোপাদি, তুমি ওই গানটার জন্য চর্চা করছ, তাই না?’’ লোপামুদ্রা বলেছিলেন, ‘‘হ্যাঁ, আসলে আমি তো এই ধরনের গানে অভ্যস্ত নই, তাই সারা দিন চর্চা করছি।’’ কিন্তু শেষমেশ নিজের গানের অ্যালবামে সেই গানটি রাখার অবকাশ পাননি লোপামুদ্রা। তখন গানটি আর ফেলে না রেখে শুভমিতাকে দিয়ে গাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন জয়।
ব্যস, তার পরের দেড় মাস কথা হয়নি দম্পতির। জয়ের উপর অভিমান করে কথা বন্ধ করে দিয়েছিলেন লোপামুদ্রা। কী ভাবে এই অভিমান ভাঙল? গায়িকার কথায়, ‘‘এক রাতে শো করে ফিরছি। গাড়িতে রেডিওয় গানটি চলছে। কী ভাল! শুভমিতা বড়ই ভাল গেয়েছিল গানটা। তখন মনে হয়, কোন গান কে পাবে, তা তো কেবল সুর পরিচালকেরই সিদ্ধান্ত। আমার সেটা নিয়ে মান অভিমান করাটা ঠিক নয়।’’
লোপামুদ্রার পেশাগত জীবনের অনেক পরে জয়ের পেশা-জীবন শুরু হয়েছে। সুরকার হওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল না জয়ের। লোপামুদ্রার সঙ্গে যখন তাঁর আলাপ, তখন তিনি গিটার বাজাতেন। তার পর ধীরে ধীরে সুরকার হওয়ার পথে এগিয়েছেন জয়। কিন্তু মঞ্চে উঠে স্বামীর গিটার বাজানোর দিনগুলির কথা বার বার মনে পড়ে লোপামুদ্রার। সেগুলি আর নেই। লোপামুদ্রার মতে, জয়ের আরও বড় জায়গায় কাজ করা উচিত। লোপামুদ্রা জয়কে নিয়ে আরও স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তাঁদের দাম্পত্যের বিভিন্ন খুনসুটি বার বার ধরা পড়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে। কত কত বার ‘বাপেরবাড়়ি চলে যাব’ বলে প্রকাশ্যে ধমকেছেন লোপামুদ্রা। জয় আবার তাঁকে মানিয়েছেন খুনসুটি দিয়েই। সেই তারকা দম্পতির সংসারে কোন ‘রাজ’ চলে? ‘মিত্র-রাজ’ নাকি ‘সরকার-রাজ’?
‘মিলিজুলি সরকার’। জয়ের সঙ্গে তাঁর সংসারকে এক কথায় এমন ভাবেই বর্ণনা করলেন লোপামুদ্রা। গায়িকার কথায়, ‘‘মিত্র-রাজ নয়, আবার সরকার-রাজও নয়। দু’জনের মিলিত সিদ্ধান্তে সংসার চলে। আমাদের মধ্যে অলিখিত চুক্তি হয়ে গিয়েছে এই ২০ বছরে। এ এটার মধ্যে ঢুকবে না। ও ওটার মধ্যে ঢুকবে না।’’
২০ বছরের ‘মিলিজুলি সরকার’-এর জয়গান গাইলেন অনুরাগীরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy