প্রায় মাসখানেক ধরেই বেসুরো বাজছিলেন তাঁরা। অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী পৃথা চক্রবর্তী। সুদীপের সমাজমাধ্যমে ভেসে উঠছিল এমন কিছু যা বার্তা যা বিচ্ছেদকে ইঙ্গিত করে। অভিনেতার ডিপির ছবি সাদা-কালো! সেই সময় একাধিক বার আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় অবশেষে প্রকাশ্যে সব কিছু। সুদীপ-ঘরনি পৃথা সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “আমি আর সুদীপ আর দম্পতি নই। আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে বিচ্ছিন্ন। আগামীতে আমরা খুব ভাল বন্ধু হয়ে থাকব।” আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। খবর জেনে আকাশ থেকে পড়েছেন সুদীপ। তাঁর কথায়, “আমি শুটিংয়ে ব্যস্ত। বিন্দুবিসর্গ বুঝতে পারছি না। পৃথা এটা কী করেছে? আমি নিজেই জানি না!”
সুদীপ এই মুহূর্তে ব্যস্ত তাঁর জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ নিয়ে। তারই ফাঁকে কখনও লিখেছেন, ‘ডিটাচমেন্ট’, কখনও লিখেছেন ‘হতে দাও’। তখনই কি বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন? তারই কি আভাস ছিল এই বার্তাগুলোতে?
জবাবে সুদীপের দাবি, “সমস্যা সকলের জীবনেই কমবেশি থাকে। আমারও আছে। এই নিয়ে বেশি কিছু বলা মানায় না।” পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁরা এখনও এক ছাদের নীচে। তার প্রমাণ অভিনেতার সমাজমাধ্যমে রয়েছে। কখনও তিনি সপরিবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে ছবি বানিয়ে ভাগ করে নিয়েছেন। কখনও দুই সন্তানের জন্মদিন পালনের ছবি জায়গা করে নিয়েছে সুদীপের সমাজমাধ্যমে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, এই সমাজমাধ্যমই ভালবাসায় জুড়ে দিয়েছিল সুদীপ-পৃথাকে। ওড়িশি নৃত্যশিল্পী পৃথা ঘর বেঁধেছিলেন বিবাহবিচ্ছিন্ন সুদীপের সঙ্গে। তাঁর প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী দামিনী বেণী বসু। যা নাকি পৃথার পরিবার মেনে নিতে চায়নি। কারণ, সুদীপের এটি দ্বিতীয় বিয়ে হলেও পৃথার প্রথম। দু’জনের বয়সের ব্যবধানও ২৫ বছর। যদিও তা তাঁদের সুখী দাম্পত্যে বাধা হয়ে উঠতে পারেনি।
হঠাৎ এমন কী হল যে তছনছ সেই সুখের সংসার? সমাজমাধ্যমেই উত্তর হাতড়াচ্ছেন অভিনেতার অনুরাগীরা।