চলতি বছরই মুক্তি পেয়েছে কঙ্গনা রনৌত পরিচালিত, প্রযোজিত ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। সত্তরের দশকে ভারতে জারি হওয়া জরুরি অবস্থা নিয়ে নির্মিত এ ছবিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনাই। ছবিটি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। তবে এই প্রথম নয়। বহু বছর আগে জরুরি অবস্থা নিয়ে ছবি তৈরি করতে চেয়েছিলেন মনোজ কুমারও।
সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা এক সময় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সেই সময় ছবির কাজ প্রায় সেরে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেঁকে বসেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তাই আর পর্দায় মুক্তি পায়নি ‘নয়া ভারত’।
দেশভক্তিমূলক ছবির জন্যই পরিচিতি মনোজ কুমারের। ‘ক্রান্তি’, ‘পুরব অউর পশ্চিম’, ‘রোটি কাপড়া অউর মকান’, ‘শহিদ’ প্রভৃতি ছবির জন্য যখন তাঁর খ্যাতি তুঙ্গে, সেই সময়ই প্রস্তাব আসে একটি ছবি বানানোর। সে সময় টালমাটাল অবস্থা দেশের। এক সময় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনোজ জানিয়েছিলেন, সরকারের হৃত ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন মনোজ কুমার একটি ছবি করুন। মূলত অভিনেতার দেশভক্ত চরিত্রটিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের আবেগ উদ্বেলিত করাই হয়তো ছিল উদ্দেশ্য। প্রাথমিক ভাবে চিত্রনাট্যকার সেলিম খান ও জাভেদ আখতারের সঙ্গে কথাও হয়ে গিয়েছিল। মনোজ জানিয়েছিলেন, এ ছবির নামও স্থির হয়ে গিয়েছিলে— ‘নয়া ভারত’। এ বিষয়ে কথা হয়েছিল ইন্দিরা এবং তাঁর ছেলে সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে।
আরও পড়ুন:
মনোজ বলেছিলেন, “প্রথমে ওঁদের চিত্রনাট্য পছন্দ হয়েছিল। একটি বিশেষ দৃশ্যে স্বয়ং ইন্দিরা গান্ধীকে দেখা যাবে, এমনও স্থির হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস পরে ওঁরা জানান, শ্রীমতী গান্ধী শুধু মাত্র কণ্ঠদান করতে পারেন এ ছবিতে। তাঁকে দেখানো যাবে না।” মনোজের দাবি, চিত্রনাট্যে বেশ কিছু পরিবর্তন করার কথাও বলা হয় তাঁকে। রাজি হননি অভিনেতা। তাঁর কথায়, “আমি পরিকল্পনা বাতিল করে দিই। ছবিটিও স্থগিত হয়ে যায়।”
গত ৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮৭ বছরের অভিনেতা মনোজ কুমার।