Karan Johar Has Changed the Old Image of Producers in Bollywood dgtl
karan johar
পরোক্ষে স্বীকার করেন সমকামী সম্পর্কের কথাও, বলিউডের প্রচলিত ধারা পাল্টে দিয়েছিলেন কর্ণ
২০০৬ সালের ছবি ‘লগে রহো মুন্নাভাই’ ছবি দেখে সংখ্যাতত্ত্বের প্রতি সব বিশ্বাস টলে যায় কর্ণের। ‘কে’ ছাড়া অন্য অক্ষর দিয়েও শুরু হতে থাকে তাঁর ছবি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২০ ১১:০৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
কল্পবিজ্ঞান সিরিজ ‘ইন্দ্রধনুষ’-এ অভিনয় করে কৈশোরে শুরু। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নামী প্রযোজকের ছেলে চলে গিয়েছেন ক্যামেরার পিছনেই। বলিউডে কর্ণ জোহর আজ একাধারে পরিচালক-প্রযোজক-চিত্রনাট্যকার-সঞ্চালক-অভিনেতা।
০২১৯
বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে স্নাতক কর্ণ ছোট থেকেই হিন্দি সিনেমার ভক্ত। রাজ কপূর, যশ চোপড়া এবং সূর্য বরজাতিয়ার ছবি দেখে খুঁটিনাটি শেখার চেষ্টা করতেন। ১৯৯৫ সালে ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’ ছবিতে সহকারী পরিচালক ছিলেন কর্ণ।
০৩১৯
নিজে প্রথম পরিচালনা করেন ১৯৯৮ সালে। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত। সুপারহিট হয় ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। বছর তিনেকের বিরতির পর তাঁর পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘কভি খুশি কভি গম’। তার পর, ‘কভি আলবিদা না কহেনা’।
০৪১৯
এক সময়ে সংখ্যাতত্ত্বে গভীর বিশ্বাস ছিল কর্ণর। বিশ্বাস করতেন ইংরেজি ‘কে’ অক্ষর তাঁর জন্য শুভ। ছবির নাম সবসময় শুরু হত ‘কে’ দিয়েই। কিন্তু আর একটি বলিউডের ছবি দেখেই নিজের পুরনো বিশ্বাস থেকে সরে আসেন কর্ণ।
০৫১৯
২০০৬ সালের ছবি ‘লগে রহো মুন্নাভাই’ ছবি দেখে সংখ্যাতত্ত্বের প্রতি সব বিশ্বাস টলে যায় কর্ণের। ‘কে’ ছাড়া অন্য অক্ষর দিয়েও শুরু হতে থাকে তাঁর ছবি।
০৬১৯
পরিচালক হিসেবে কর্ণের বাকি ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘বম্বে টকিজ’, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’, ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ এবং ‘লাস্ট স্টোরিজ’।
০৭১৯
বাবা যশ জোহরের পরে ধর্মা প্রোডকশন হাউসের ব্যায়টনও বয়ে নিয়ে চলেছেন কর্ণ। তাঁদের সংস্থার ব্যানারে মুক্তি পেয়েছে একের পর এক সুপারহিট হিন্দি ছবি।
০৮১৯
‘কাল হো না হো’, ‘ওয়েক আপ সিড’, ‘উই আর ফ্যামিলি’, ‘অগ্নিপথ (রিমেক), ‘ইত্তেফাক, ‘সিম্বা’, ‘রাজি’, ‘কলঙ্ক’, ‘গুড নিউজ’ এবং ‘কেশরী’-সহ আরও অজস্র এমন ছবির প্রযোজক ধর্মা প্রোডাকশন, যেগুলির পরিচালকের দায়িত্বে কর্ণ জোহর ছিলেন না।
০৯১৯
প্রযোজনা-পরিচালনার দায়িত্ব সামলে করেছেন অভিনয়ও। ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’ ছবিতে তিনি ছিলেন রকি-র ভূমিকায়। পাশাপাশি, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘ফ্যাশন’, ‘লাক বাই চান্স’, ‘বম্বে ভেলভেট’, ‘শানদার’, সিম্বা’-সহ বেশ কিছু ছবিতে তিনি ছিলেন ক্যামিয়ো ভূমিকায়।
১০১৯
পরিচালক বা প্রযোজক আবার টেলিভিশন শো-এর সঞ্চালকও হবেন, এ কথা ভাবতে পারত না বলিউড। পুরনো সেই ধারণা ভেঙেছেন কর্ণ। ‘কফি উইথ কর্ণ:-র সঞ্চালক তো বটেই। বিচারক হয়েছেন বেশ কিছু রিয়েলিটি শো-এরও।
১১১৯
কর্ণ জোহর কি সমকামী? এই প্রশ্ন দীর্ঘ দিন ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল গুঞ্জন হিসেবে। এই নিয়ে বছর তিনেক আগে মুখ খুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, সবাই জানে তাঁর সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন। তিনি প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কিছু বলতে চান না। কারণ বললে হয়তো তাঁর কারাবাসও হতে পারে! লোকে তাঁর সম্বন্ধে নানা রকম কিছু বললেও তাঁর কিছু এসে যায় না, মন্তব্য কর্ণের।
১২১৯
এ ভাবে কার্যত সব অন্তরালে রেখেই কর্ণ স্বীকার করে নেন তিনি সমকামী। তবে সেইসঙ্গে এ-ও জানান, নিজের পরিচয়ে তিনি গর্বিত।
১৩১৯
২০১৭ সালে সরোগেসির মাধ্যমে যমজ সন্তানের বাবা হন কর্ণ। নিজের বাবা যশের নামে ছেলের নামকরণ করেছেন কর্ণ। তাঁর মায়ের নাম হিরু। এই শব্দটিকে উল্টে তিনি মেয়ের নাম রেখেছেন রুহি।
১৪১৯
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুতে যে কয়েক জন বলিউডি তারকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, কর্ণ তাঁদের মধ্যে এক জন। অভিযোগ, কর্ণ জোহর এবং বলিউডের বিশেষ বিশেষ কয়েক জনের স্বজনপোষণ নীতির জন্য ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত।
১৫১৯
সুশান্তের মৃত্যুর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তা জানিয়েছিলেন কর্ণ। তার পরেই ট্রোলড হতে থাকেন তিনি। কর্ণ লিখেছিলেন, ইদানীং সুশান্তের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখায় তিনি অনুতপ্ত।
১৬১৯
তার পরেই নেটাগরিকরা প্রশ্ন তোলেন, কর্ণের এই পাপবোধের উৎস কোথায়? কেন তিনি অনুতপ্ত? তা হলে কি নিজের কৃতকর্মের অনুশোচনায় তিনি দগ্ধ হচ্ছিলেন?
১৭১৯
‘কফি উইথ কর্ণ’-এর একটি পর্বে সুশান্ত ও আলিয়া একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সুশান্তকে অপদস্থ করা হয় বলে সোচ্চার নেটাগরিকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে পুরনো সেই পর্বের ভিডিয়ো ক্লিপ।
১৮১৯
কর্ণের পরিচালনা ও প্রযোজনায় বহু স্টারকিড পা রেখেছেন বলিউডে। সেই ধারা এবং কফি উইথ কর্ণের পুরনো পর্বের প্রসঙ্গ টেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয় কর্ণের এই শোকপ্রকাশ আসলে ‘কুম্ভীরাশ্রু’ ছাড়া কিছুই নয়।
১৯১৯
সুশান্তের মৃত্যু পরবর্তী দিনগুলিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ফ্যান ফলোয়িং হু হু করে হারিয়েছেন কর্ণ। নিজেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন অনেকটা। মহাকাব্যিক বীরের মতো বলিউডের কর্ণেরও সাফল্যের চাকা আজ অনেকটাই ঢুকে গিয়েছে। স্বজনপোষণ বিতর্কে।