এই ঘটনা সামনে আসার পর অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন জ্যাকি। ২০০৯ সাল থেকে চিনের অ্যান্টি-ড্রাগ গুডউইল অ্যাম্বাসাডর ছিলেন জ্যাকি। তাঁর ছেলেই মাদক-সহ ধরা পড়েছে এই বিষয়টিই সবচেয়ে আঘাত দিয়েছিল তাঁকে। জেসি গ্রেফতারের পর তাঁকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেননি জ্যাকি। বরং ছেলের কৃতকর্মের জন্য প্রকাশ্যে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন।
জানলে অবাক হবেন, জেসির শুনানির সময় জ্যাকি কিংবা তাঁর স্ত্রী জোয়ান কেউই আদালতে হাজির হননি। প্রভাব খাটিয়ে একমাত্র ছেলের জামিনের চেষ্টাও করেননি তাঁরা। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন জেসি। আর কোনও দিন এই কাজ করবেন না বলে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এমনকি জেলে থাকার সময় তিন পাতার একটি চিঠিতে মায়ের কাছেও এই স্বীকারোক্তি ছিল তাঁর।
ওই ঘটনার সময় জেসি নিজেও যথেষ্ট পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন গায়ক এবং অভিনেতা ছিলেন। ফলে ওই গ্রেফতারি তাঁর কেরিয়ারে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে তাইপেইয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন। রাস্তাঘাটে বেরোলে যাতে কেউ তাঁকে চিনতে না পারেন তার জন্য সব সময় মাস্ক পরে থাকেন। ২০২০ সালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলসে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি।
বাবার সঙ্গে খুব বেশি দেখা হয় না জেসির। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তাইওয়ানে দু’জনের দেখা হয়েছিল। একসঙ্গে সারা রাত গল্প করে কাটিয়ে দিয়েছিলেন বাবা-ছেলে। ছেলেকে সৎ পথে ফিরিয়ে আনার যে প্রয়াস জ্যাকি নিয়েছিলেন তা প্রশংসিত হয়েছে। জ্যাকি অবশ্য প্রথম থেকেই এই বিষয়ে খুবই সতর্ক। যে কারণে ২০১১ সালে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর সমস্ত সম্পত্তির অর্ধেক দান করে যাবেন। বাকিটা থাকবে ছেলের জন্য। তাঁর যুক্তি ছিল, সামর্থ্য থাকলে ছেলে নিজে উপার্জন করে নেবে, সামর্থ্য না থাকলে তাঁর অর্থের অপচয় হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy