কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজকে নিয়ে কী বললেন কাঞ্চনের স্ত্রী পিঙ্কি?
দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিনয় জীবন কাটানোর পর এই প্রথম কাঞ্চন মল্লিকের নামে গুঞ্জন! অভিনেতা নাকি শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। নেটমাধ্যমে খবর, রাজনৈতিক কাজের সূত্র ধরেই নাকি এই ঘনিষ্ঠতা। প্রায়ই নাকি তাঁদের এক সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। নিজেদের সামাজিক পাতাতেও একে অন্যকে নাকি মনের কথা জানাচ্ছেন। যদিও কাঞ্চন-শ্রীময়ীর সামাজিক পাতা তেমন কিছুর ইঙ্গিত করছে না। শ্রীময়ী জি বাংলার কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকে জনপ্রিয় খলনায়িকা ‘রাধারানি’র ভূমিকায় অভিনয় করছেন। পাশাপাশি, তিনি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ। সমস্যায় পড়লে তিনি মদন মিত্রের সাহায্য পেয়েছেন, এ কথা নিজেই আগে জানিয়েছিলেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে।
ঘটনা কি সত্যি? রাজনীতির সূত্র ধরে নতুন রসায়ন তৈরি হয়েছে ২ অভিনেতা-অভিনেত্রীর মধ্যে?
ফোনে শ্রীময়ীকে পাওয়া যায়নি। আনন্দবাজার ডিজিটালকে প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। সাফ জানিয়েছেন, ‘‘শ্রীময়ীকে আমি কম করে ১০ বছর ধরে চিনি। আমাদের বাড়িতে ওঁর যাতায়াত আছে। আমার স্ত্রী পিঙ্কি ওঁকে চেনেন। আমরা এক সঙ্গে মঞ্চে অভিনয় করেছি। তখন ওঁকে নিয়ে কোনও রটনা তৈরি হল না। আজ রাজনীতি সূত্রে কাজ করতে গিয়ে মিথ্যে বদনাম শুনতে হচ্ছে!’’ কাঞ্চন এও জানান, নির্বাচনের প্রচারে বাকি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর প্রচারেও অভিনেত্রী এসেছিলেন। প্রশ্ন তোলেন, তার মানেই কি শ্রীময়ীর সঙ্গে তাঁর বিশেষ সম্পর্ক? একই সঙ্গে কাঞ্চনের দাবি, ইদানিং নেটমাধ্যমে সারাক্ষণ এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ মিম, বক্তব্য দেখা যায়। ভিত্তিহীন খবরগুলো ভাইরালও হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জনপ্রতিনিধি, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ব্যক্তি জীবন।
রাজনীতিতে পা রেখেই মিথ্যে রটনার শিকার। আফসোস হচ্ছে? শাসকদলের বিধায়কের দাবি, রটনা যে কোনও দিন, যে কেউ রটাতে পারে। তার জন্য রাজনীতিকে তিনি দায়ী করতে তিনি রাজি নন।
আনন্দবাজার ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল কাঞ্চনের স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। কথার শুরুতেই তিনি স্পষ্ট জানালেন, ‘‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। যত ক্ষণ কাঞ্চন নিজের মুখে কিছু না বলছে আমি বিশ্বাস করছি না।’’ পাশাপাশি তিনি এও বলেন, খবর সত্যি হলেও ভাল না হলেও। তাঁর দাবি, রটনা সত্যি হলে একা শ্রীময়ীকে দোষারোপ করবেন না তিনি। আঙুল তুলবেন কাঞ্চনের দিকেও। কারণ তিনি জানেন, কখনওই এক হাতে তালি বাজে না।
এই ধরনের রটনা দাম্পত্যে ছায়া ফেলে। বিশ্বাসের বাঁধন আলগা করে দেয়। অভিনেত্রীর যুক্তি, সারাক্ষণই তিনি কিছু না কিছু নিয়ে ব্যস্ত। তাই বিষয়টি নিয়ে ভাবার অবকাশ পাচ্ছেন না। পিঙ্কির কথায়, ‘‘পুরোটাই সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। সঠিক সময়ে সঠিক খবর ঠিক জানতে পারব। বাকিরাও জেনে যাবেন’’। লকডাউনে ছেলের দেখভাল পিঙ্কি পুরোপুরি নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন।
পিঙ্কি যেমন ‘মা’ তেমনি কারওর স্ত্রী-ও। সেই দায়িত্বে কি কোনও ফাঁক থেকে গিয়েছে? যেখান দিয়ে এত বছর পরে ঢুকে পড়েছে রটনা? অভিনেত্রী অকপট, ‘‘সোয়েটারের বুননেও ফাঁক থাকে। সেখান দিয়ে ঠাণ্ডা হাওয়া ঢোকে। যিনি সোয়েটার পরে আছেন, তাঁর দায় সেই হাওয়া তিনি কী করে রুখবেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy