দিন দুয়েক আগেই কঙ্গনা রনৌত দাবি করেছিলেন তাঁর মানালির বাড়িতে নাকি ১ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল এসেছে। যেখানে বাস করাই হয় না সেই বাড়ির এতটা বিদ্যুৎ বিল আসে কী ভাবে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। একটি জনসভায় গিয়ে সরাসরি হিমচলপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের দিকে আঙুল তোলেন। সে রাজ্যের সরকারকে নেকড়ের সঙ্গে তুলনা করেন।
আরও পড়ুন:
এ দিকে কঙ্গনার দাবি ডাহা মিথ্যা বলে মুখ খুললেন হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের সভাপতি সন্দীপ কুমার বেগন। এই গোটা ঘটনায় তিনি কঙ্গনাকে মিথ্যেবাদী তকমা দেন। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি ম্যাডাম কঙ্গনা জানান তাঁর বাড়ি ১ লক্ষ কাটার বিদ্যুৎ বিল এসেছে। যে বাড়িতে তিনি নাকি থাকেন না। এই গোটাটার মধ্যে কোনও সত্যতা নেই।’’
কঙ্গনার বাড়ির বিলের রশিদ প্রকাশ্যে এনে সভাপতি বলেন, ‘‘মার্চ মাসে তিনি ৫৫,০০০ টাকার বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন। কিন্তু জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের বিল এখনও পরিশোধ না করায় তাকে মোট ৯১,০০০ টাকার কিছু বেশি বিল পাঠানো হয়েছে। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের তার বিলের পরিমাণ প্রায় ৩২,০০০ টাকা। বিলম্বের জন্য জরিমানা-সহ, সমস্ত যোগ করলে মোট অঙ্কটি আনুমানিক ৯১,০০০ টাকা হয়, ১ লক্ষ টাকা নয়।’’ এখানেই শেষ নয় তিনি দাবি করেন কঙ্গনা সময় মতো বিলের টাকা মেটাননি, তাই সেই অঙ্ক এত বে়ড়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘যদি তিনি জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের বিল সময়মতো দিয়ে দিতেন, তাহলে চলতি মাসে তাঁর কাছে মোটে ৫৫,০০০ টাকার বিল আসত।’’ কঙ্গনার বাড়ির বিদ্যুতের বিল নিয়ে যে তর্জা শুরু হয়েছে তাতেই পাল্টা অভিনেত্রী কোনও দাবি করেন কি না! সেটা সময় বলবে।